প্রেমের সাড়া না দেয়ায় ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৪ জানুয়ারি ॥ প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মঙ্গলবার রাতে শাওন খান (২৩) নামের এক বখাটে ঘরে ঢুকে ব্লেড ও ধারালো চাকু দিয়ে কলেজছাত্রী কেয়া আক্তারকে কুপিয়ে জখম করেছে। গুরুতর আহত কেয়াকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেয়া সরকারী সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং শহরের মহিষেরচর এলাকার মোখলেছ সিকদারের মেয়ে। বখাটে শাওন খান রকেটবিড়ি এলাকার আনু খানের ছেলে। ঘটনার পর শাওন ও তার পরিবার বাড়ি-ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে। ছাত্রী কেয়াকে শাওন খান দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে ছাত্রী ঐ বখাটের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কলেজে যাওয়া আসার পথে কেয়াকে উত্ত্যক্ত করত বখাটে শাওন। এ বিষয়টি কেয়া তার মা-বাবাকে জানালে তারা শাওনের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এতে শাওন ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে লোকজন নিয়ে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বসতঘরে ঢুকে ব্লেড ও ধারালো চাকু দিয়ে মুখম-লে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে ঐ ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। কলেজ ছাত্রী কেয়া বলেন, ‘আমি আর আমার মা ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। হঠাৎ শাওন লোকজন নিয়ে আমার ঘরে ঢুকে আমার মুখে কোপাতে থাকে। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই তিনি যেন ঐ বখাটের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করেন।’ শাওনের বাবা আনু খান বলেন, ‘আমার ছেলে কাউকে ভালবাসতে পারে। তার সাথে ওই মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু বাসায় ঢুকে কোনো মেয়েকে জখম করে আসা, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য এমনটা করা হচ্ছে।’ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা আসিফ আল-নাঈম বলেন, ‘আহত কলেজ ছাত্রীর মুখম-লে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন থাকায় আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।’