ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

লোকালয়ে ‘কার্বন পাউডার’ মিল

কুড়িগ্রামে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

কুড়িগ্রামে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের রাজিবপুরের টাঙ্গালিয়াপাড়ায় অনুমোদনহীন ‘কার্বন পাউডার’ মিল চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। এতে স্থানীয় লোকজন মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। মিল চালু অবস্থায় কেমিক্যাল মিশ্রিত পাটকাঠি পোড়ানোর ছাইয়ে গাছপালা মরে যেতে শুরু করেছে। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সেই সঙ্গে ছাইযুক্ত ঘাস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গবাদিপশু। প্রাণী তথা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করা এ মিল বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছেন না। সোমবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, শুকুর আলী, আব্দুল মান্নানসহ ৫ কিশোর কার্বন পাউডার মিলে (চারকল মিল) ছাই ভাঙছেন। পাশে দুটি বয়লারে পোড়ানো হচ্ছে পাটকাঠি। কিছু দূরে ভানু বেগম, পেতি খাতুন নামের দুই মহিলা ওই ছাই শুকাতে ব্যস্ত। তাদের সর্বাঙ্গ যেন কালিমাময়। ছাই যেমন উড়ছে তেমনি কাশছেন তারা। মিলের ম্যানেজার শহীদার রহমান জানান, প্রতিদিন প্রায় ৭০ টন পাটকাঠি পোড়ানো হয় এখানে। ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানান, কাগজপত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী তদন্তও হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সকল দফতরের অনুমোদন আসছে। ওই মিল সংলগ্ন প্রতিবেশী আব্দুল আলিম অভিযোগ করে বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই এ মিলটি স্থাপন করেছেন লালমনিরহাটের আদিতমারী এলাকার শহিদুর রহমান। তিনি বিভিন্ন স্থানে মিলটি চালু করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখানে স্থাপন করেছেন। স্থানীয় কিছু নেতার শেল্টারে তিনি এটি স্থাপন করতে সক্ষম হয়। যেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই। ইতোমধ্যেই একাধিকবার এতে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। পার্শ্ববর্তী জামালপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও রান্না করা খাবার, কাপড়চোপড়, গাছপালার ক্ষতি হচ্ছে। মিলটি বন্ধ করা অতীব জরুরী। রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতর উপপরিচালক মেসবাহুল আলম বলেন, এ মিল লোকালয় থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করতে হবে। যা এখানে মানা হয়নি। তাই আমরা এর অনুমোদন দেইনি। যেহেতু এর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে আমরা এর ব্যবস্থা নেব।
×