ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে আলু আবাদ॥ ১২ জানুয়ারির মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

মুন্সীগঞ্জে আলু আবাদ॥ ১২ জানুয়ারির মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ আলু উৎপাদনের সর্ববৃহৎ জেলা মুন্সীগঞ্জে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে যাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার ৩৩ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। আবাদ এখন চলছে। সেই অনুযায়ী আগামী ১০/১২ জানুয়ারির মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৩৯ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হবে। আলুর দাম পড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না বলে হতাশা চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার এই আশার কথা জানালেন উপ-পরিচালক। তিনি বলেন, চারিদিকেই এখন এই আশার ঝিলিক। মুন্সীগঞ্জের এবার নানা কারণে আলুর জমিতে জো আসতে বিলম্ব হয়। তাছাড়া রোপণ মৌসুমে টানা বৃষ্টি নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। এরপরও কৃষক আলু রোপণ করে চলেছে। তিনি জানান, ঐ বৃষ্টিতে দুর্যোগ আক্রান্ত আলু রোপণের জমির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১১৫ হেক্টর। তবে ক্ষতি সাধন হয়েছে রোপণকৃত ৫৩১ হেক্টর জমির। বাকি জমির আলুর গাছ উঠেগেছে। তাই ক্ষতি হয়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ৩৯ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টির আগ পর্যন্ত আবাদ হয় ২৮ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে। পরবর্তীতে এখন বাকি জমিতেও আলু আবাদ হচ্ছে। এই জেলার মোট জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আলু চষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গেলো বছর আলু আবাদে ৮০ হাজার কৃষকের লোকসান গুণতে হয়েছে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা। এর আগের বছর গুলোতে এই আলু আবাদ করেই তারা সংসারের খরচের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করেছেন। সেই আশায়ই আলু আবাদের প্রতি আগ্রহ ছিল এখানকার কৃষকদের। এবারও আলু লাগানোর সময় তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপুল পরিমাণ আলু আবাদি জমি নষ্ট হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবীর জানান, আলুর বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধিসহ বিদেশে আলু রফতানি এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীতে আলু সম্পৃক্ত করার দাবি উঠেছে।
×