ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে বহুতল ভবনে নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

কেরানীগঞ্জে বহুতল ভবনে নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২৭ অক্টোবর ॥ বহুতল ভবন ও শিল্পকারখানাগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো। হাউজিং এ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিউটের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জে মোট হাইরাইজ ভবনের সংখ্যা তিন শতাধিক। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিফতর ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নোটিস পাঠালেও কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। রাজউকের ছাড়পত্র ছাড়া পৃথক যে ১০টি সংস্থার ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরও। অথচ অগ্নিনির্বাপকের কোন ব্যবস্থা না রেখেই কিভাবে ওই ভবনগুলো গড়ে উঠল সে প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গৃহায়ন এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এখন রাজউকের নক্সা পাস করাটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হয় নক্সা না পাস করালে ভবন নির্মাণ করা যাবে না। শুধু এজন্যই নক্সা পাস করা হয়। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে এটা মানতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা আছে বলে কেউ মনে করছে না। এক্ষেত্রে যারা আইন ভাঙছেন তারাই এর ভয়ঙ্কর ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে যারা আইন লঙ্ঘন করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে। তবে কেরানীগঞ্জের সকল মানুষের মধ্যে আইন ভাঙ্গার প্রবণতা রয়েছে উল্লেখ করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা যাবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন উর্ধতন কর্মকর্তারা। কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ওয়্যারহাউসের ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল হাসান বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের মধ্যে তীব্র সমন্বয়হীনতার কারণে এমনটা হচ্ছে। যে ১০টি সংস্থার অনুমোদন নিতে হয় তার সব অনুমতিপত্র রাজউকের কাছে জমা না দেয়া পর্যন্ত রাজউকের ছাড়পত্র মেলার কথা নয়। কিন্তু তারপরও কিভাবে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এসব ভবনে রাজউকের ছাড়পত্র রয়েছে কি-না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকশ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কোড মেনে ভবন নির্মাণ করা হলে বহুতল ভবনের প্রতিটি তলায়ই থাকতে হবে একটি ফায়ার স্টেশন। এক্ষেত্রে সাধারণ ভবনের তুলনায় বহুতল ভবন নিরাপদ হলেও আমাদের এখানে অনাকাক্সিক্ষতভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের রেকর্ড অনুযায়ী ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই আজ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে ঘটেছে দেড় শতধিক। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় নয় কোটি টাকা।
×