স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ছিনতাই মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় যশোরের চৌগাছায় মশিয়ার রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষককে সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গাছে বেঁধে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার গয়ড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মশিয়ার রহমানের স্ত্রী রুমা আক্তার ও বৃদ্ধা মা মোমেনা বেগম ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও মারপিট করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা।
আহত শিক্ষক মশিয়ার রহমান উপজেলার ছোট কাকুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তার ভাতিজা হৃদয়কে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের নেতৃত্বে ইন্তাজ আলী, শুকুর আলী, মুন্তাজ আলীসহ ৬/৭ জন পূর্ব বিরোধের জের ধরে তিলকপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে মারপিট করে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার (মশিয়ার) ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মশিয়ার রহমান ১০ হাজার ৬১৫ টাকা নিয়ে একটি ছাগল কিনতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রেজাউলের চায়ের দোকানের পাশে পৌঁছালে সাবেক মেম্বার আতাউল হকের নেতৃত্বে মুন্তাজ আলী, শুকুর আলী, মজনু, রোস্তম, শামীম, শামনুর তার পথরোধ করে মামলা তুলে নিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে তারা মশিয়ারকে পাশের মেহগনি গাছে বেঁধে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী রুমা আক্তার ও ৮০ বছর বয়সী মা মোমেনা খাতুন এবং গ্রামের ফিরোজ খান এগিয়ে এলে তাদেরও বেদম মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে একটি মোটরসাইকেলের শব্দে পুলিশ এসেছে মনে করে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: