ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সবাই ছুটছে নতুন ফ্লাইওভারের পথে, ফল-যানজট

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৭ অক্টোবর ২০১৭

সবাই ছুটছে নতুন ফ্লাইওভারের পথে, ফল-যানজট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। এরপর যানবাহন চলাচল শুরু। এর মধ্য দিয়ে কাটে প্রায় দুই ঘণ্টা। বেলা তিনটা থেকেই মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কের দৃশ্যপট কিছুটা বদলে যেতে থাকে। প্রথম দিনেই ফ্লাইওভারের বাংলামোটর অংশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যদিও ট্রাফিক পুলিশ বলছে, যানজট নয়। সিগন্যালের কারণে গাড়ির জটলা বাড়ছে। সন্ধ্যার পর বাংলামোটর মোড় থেকে মগবাজার হয়ে গাড়ির জটলা ওয়্যারলেস গেট মৌচাকের কাছাকাছি যায়। প্রশ্ন হলো যানজট থেকে মুক্তির জন্যই এই প্রকল্প করা হয়েছে। তবে যাত্রা শুরুতেই ভোগান্তি কেন? সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাজারবাগ ও শান্তিনগর থেকে ফার্মগেটমুখী গাড়িগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলামোটরের দিকে আসছে। উড়ালপথে যানজট না থাকায় সর্বোচ্চ দু’মিনিটে পাড়ি দিচ্ছে ঘণ্টার পথ। দুপুরের পর বাংলামোটর সিগন্যাল দীর্ঘ হয়। উড়াল সড়কের ওপরে নিচে ব্যাপক যানজট দেখা যায়। রাতে বাংলামোটর সিগন্যাল পাড়ি দিতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় গাড়িগুলোকে। প্রথম দিনেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন যাত্রী ও চালকরা। ট্রাফিক পুলিশ বলছে, উড়াল সড়ক উদ্বোধনের পর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ি ইস্কাটন প্রান্তে চলে আসছে। কিন্তু বাংলামোটর-ফার্মগেট সড়কটি ভিআইপি হওয়ায় ইস্কাটন প্রান্তের সিগন্যাল অল্প সময়ের জন্য ছাড়া হয়। এতে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সারি দীর্ঘ হচ্ছে। কিন্তু গাড়ি জট এড়াতে বেশি সময় সিগন্যাল চালু রাখতে পারছি না। তাছাড়া কাওরানবাজার ও বাংলামোটরের রাস্তায় বাড়তি গাড়ির চাপ রয়েছে। সড়ক ফাঁকা নেই। পুলিশ ও সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, নতুন ফ্লাইওভারে ওঠার পর মালিবাগ ও মৌচাক পয়েন্টে ট্রাফিক সিগন্যালে পড়তে হচ্ছে। এটি নতুন বিড়ম্বনা হিসেবে দেখছেন তারা। তাদের দাবি সিগন্যাল মুক্ত করার। এছাড়া উড়াল সড়কটি বাংলামোটর সিগন্যাল ক্রস করার কথাও বলেন তারা। তাদের বক্তব্য, বাংলামোটর সিগন্যাল ক্রস করা হলে সিগন্যাল সমস্যায় পড়তে হতো না। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল জানান, জায়গা স্বল্পতার কারণে পৃথক লেন করা সম্ভব হয়নি। তাই মৌচাক-মালিবাগে ট্রাফিক সিগন্যাল দেয়া ছাড়া বিকল্প কিছু ছিল না। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের উড়াল সড়কে সিগন্যাল থাকার কথা জানান তিনি। উড়াল সড়কে সিগন্যালের কারণে যানজট হবে না বলেও মনে করেন সুশান্ত। তিনি বলেন, সবাই সিগন্যাল মেনে চললে সমস্যা হবার কথা নয়। তাছাড়া বাংলামোটর-কাওরান বাজার ভিআইপি সড়ক। তারপর যোগাযোগ খাতের অন্যান্য প্রকল্পের রুট এই দিক দিয়ে যাবে। ফলে উড়াল সড়কটি সিগন্যাল অতিক্রম করার সুযোগ ছিল না। তবে গাড়ি জটের বিষয়টি দেখবে ট্রাফিক বিভাগ। হয়ত প্রথম দিনের মতো আগামী দিনগুলোতে এত গাড়ির চাপ হবে না।
×