ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাটারিচালিত পরিবহনে দিনে বিদ্যুত খরচ ১৫ মেগাওয়াট

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১১ অক্টোবর ২০১৭

ব্যাটারিচালিত পরিবহনে দিনে বিদ্যুত খরচ ১৫ মেগাওয়াট

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (অটো নামেও পরিচিত) এবং হর্স পাওয়ারের মোটর ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত গিলছে। এই যানবাহনগুলো চলার নির্ধারিত সময়ের পরে বিদ্যুতে চার্জ দিতে হয়। বগুড়ায় এসব যানবাহনগুলোতে বিদ্যুতে চার্জ দেয়ার একশ’টির বেশি প্রতিষ্ঠান গড় উঠেছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বৈদ্যুতিক মিটারে কারসাজি করে ইউনিট না উঠিয়ে ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। বগুড়ায় ঠিক কত ইজিবাইক ও ব্যাটারি রিক্সা চলাচল করে তার প্রকৃত সংখ্যা কারও জানা নেই। দুটি সূত্রের দুই রকম পরিসংখ্যান। একটির কথা : জেলায় ৫ হাজার ইজিবাইক ও ৩০ হাজার ব্যাটারি রিক্সা চলাচল করে। আরেক সূত্রের হিসাব- ইজিবাইক ও ব্যাটারি রিক্সা মিলিয়ে এই সংখ্যা অন্তত ৭০ হাজার। এই যানবাহনগুলো রাখার গ্যারেজ তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রতিবার প্রতিটি রিক্সায় চার্জ দিতে নেয়া হয় ৬০ টাকা করে।প্রতিটি ইজিবাইকে প্রতিবার চার্জ দিতে নেয়া হয় ১শ’২০ টাকা করে। প্রতিবার প্রতিটি রিক্সায় প্লাগ ইন করে চার্জ দিতে খরচ হয় বিদ্যুতের মিটারের তিন ইউনিট করে। প্রতিবার প্রতিটি ইজিবাইকের জন্য প্লাগ ইন করে বিদ্যুত দিতে খরচ হয় মিটারের ১২ ইউনিট করে।বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কথা- বগুড়ায় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুত সমিতি (পবিস) মিলে প্রতিদিনের বিদ্যুতের চাহিদা ২শ’৮১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নগরীর জন্য ১শ’৪০ মেগাওয়াট রেখে পবিসকে বাকিটা অর্থাৎ ১শ’৪১ মেগাবাইট দিতে হয়। প্রতিদিন এই পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে গ্রিড থেকে বিদ্যুত মেলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এই পরিমাণ বিদ্যুত লোড সেড করে ভাগাভাগি করে দিতে হয়। এই বিদ্যুতের একটি অংশ ব্যবহার হচ্ছে ইজিবাইক ও ব্যাটারি রিক্সার চার্জে। একটি সূত্রের কথা : যারা এভাবে চার্জ দিচ্ছে তা এক ধরনের ব্যবসা। এই ব্যবসায় তারা সোলার প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুতে চার্জ দিলে পিডিবির বিদ্যুতের ওপর চাপ কমবে। যশোর শহরে অবৈধ যান বন্ধ ঘোষণা স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে যশোর শহরে ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যান চলাচল করতে দেবে না জেলা প্রশাসন। এজন্য চালকদের অবহিত করতে প্রচার-প্রচারণা করা হবে। সোমবার জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যশোর জেলা প্রশাসন অনলাইনে জুয়া খেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র মতে, যশোর শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা যানজট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের দড়াটানা, হাসপাতাল মোড়, জজকোর্ট মোড়, এমএম আলী সড়ক, গাড়ীখানা, চিত্রা মোড়, চৌরাস্তা, মনিহার এলাকা, পালবাড়ি মোড়, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ প্রধান প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এর অন্যতম প্রধান কারণ অবৈধ যানবাহন। বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইকের চাপ দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ফলে যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশের।
×