নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৪ অক্টোবর ॥ বুধবার সকালে কেশবপুরের মর্ডান ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুল সিজারের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও কিডনি অকেজো হয়ে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রসূতির স্বামী বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সাইফুল্লাহর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের প্রসবজনিত বেদনা উঠলে ২০ সেপ্টেম্বর মর্ডান ক্লিনিকে ভর্তি করান। ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম জানান, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডাক্তার আব্দুল বারী তাসলিমার অপারেশন করেন। অপারেশনের পর তাসলিমার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। বারবার রক্ত দেয়ার পরও রোগীর অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কৌশলে খুলনার একটি ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীর স্বজনরা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তার চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তাসলিমাকে খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয়রা খুলনার গাজী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকায় চিকিৎিসা করাতে থাকেন। বুধবার ভোর চারটার দিকে সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে তাসলিমা বেগম মারা যান। অভিযুক্ত ডাক্তার আব্দুল বারীর মোবাইলে ফোন করলে সিরাজুল ইসলাম নামে একজন রিসিভ করে জানান, স্যার ব্যস্ত আছেন, এখন কথা বলা যাবে না। তবে ডাক্তার আব্দুল বারী অন্য সাংবাদিকদের জানান, বিলম্বে নিয়ে আসায় ওই প্রসূতির জরায়ু ফাটা ছিল। বিধায় অপারেশন থিয়েটারেই তার মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তার শরীরে দেয়া রক্তের রিএ্যাকশন ও কিডনি ফেল করায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাসলিমার বেগমের স্বামী সাইফুল্লাহ বুধবার ভুল অপারেশনে তার স্ত্রীকে মেরে ফেলার বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহ অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: