ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ৩ অক্টোবর ২০১৭

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো কর্মকর্তা বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় চেতনাকে সমৃদ্ধ করছে। যে কোন পরিস্থিতিতে বৈচিত্র্যময় এ ধর্মীয় সম্প্রীতিকে ধরে রাখতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সবার ভেতরের অশুভ অসুরত্বকে দূর করতে হবে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধীনস্থ সকল দফতর, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, এ কে এম জাকির হোসেন ভূঁইয়া, রওনক মাহমুদ, যুগ্মসচিব মোঃ সফিউদ্দিন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েফ উল্যা, উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অধীনস্থ দফতরসমূহের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারী স্কুল-কলেজের সংযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা বদলির তোড়জোড় সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত (এটাচমেন্ট) থাকা শিক্ষকদের সংযুক্তি বাতিলে প্রস্তাব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই বলছেন, দুদকের প্রস্তাব আমলে নিয়ে শীঘ্রই শিক্ষক পদায়ন করা হবে। জানা গেছে, শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীভুক্ত বিভিন্ন সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে দুই হাজারের বেশি শিক্ষককে সংযুক্তি রাখা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই সরকারী কলেজ ও সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক। তাদের প্রায় সবাই রাজধানী ও এর আশপাশের জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামকাওয়াস্তে কর্মরত থাকলেও অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসেন না। এই সংযুক্তির কারণে উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক স্বল্পতা ক্রমশ সঙ্কটাপন্ন হচ্ছে। এতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তদ্বিরে অধিকাংশ সংযুক্তি বাতিলে ইতিবাচক পদক্ষেপ দিতে পারেনি মন্ত্রণালয়। ফলে বছরের পর বছর ধরে পদ না থাকলেও সংযুক্তি নিয়ে শহরের স্কুল ও কলেজে চাকরি করছেন অনেকেই। দুদক চেয়ারম্যানের চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারী প্রাথমিক/ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও শিক্ষকবৃন্দ অন্যত্র বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংযুক্তি আদেশের মাধ্যমে কর্মরত থাকায় মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে মর্মে গণশুনানিতে উঠে এসেছে, যা প্রকারান্তরে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষকের স্বল্পতা থাকায় উল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীগণ নিয়মিতভাবে মানসম্মত শিক্ষালাভ করতে পারছে না মর্মে ধারণা করা যায়। মাউশির একজন কর্মকর্তা দুদক ও মন্ত্রণালয়ের অবস্থানের পক্ষে পদক্ষেপের কথা জানিয়ে বলেন, এই সপ্তাহেই হাই স্কুলের ১২৪ জন শিক্ষকের সংযুক্তি বাতিল করে তাদের উপজেলা পর্যায়ের স্কুলে পদায়ন করা হচ্ছে।
×