ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণ মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার দাবি

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ধর্ষণ মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বিয়ের প্রলোভনে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর লালসার শিকার এক কলেজছাত্রী এবং তার পরিবার ধর্ষক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষণের মামলা দায়েরের ১০ দিন পার হলেও পুলিশ প্রভাবশালী ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের সব অপকর্মের বিচার দাবি করে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন। রবিবার বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী তার ওপর নির্যাতনকারী ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণেরও আবেদন জানান। নন্দীগ্রাম উপজেলার দুর্জয়পুর গ্রামে নির্যাতিত কলেজছাত্রীর বাড়ি। তিনি অভিযোগ করেন, একই উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল এবং একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক গড়ে। বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন ও হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট বগুড়া পর্যটন মোটেলে তাকে ডেকে নিয়ে আবার পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় নির্যাতিত কলেজছাত্রী চিৎকার করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। পরে মোটেলের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। বরিশালে হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের পত্তনিভাঙ্গা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় সালাউদ্দিন বেপারী (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। রবিবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাউদ্দিন মারা যায়। সে (সালাউদ্দিন) পত্তনিভাঙ্গা গ্রামের ইউনুস আলী বেপারীর পুত্র। জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রতিপক্ষ সুলতান বেপারীর পুত্র আবু তালেবের ওপর স্থানীয় মোবারেক আলী বেপারী, হারুন মালি ও সবুজ মালি হামলা চালায়। এসময় আবু তালেবকে রক্ষা করতে গিয়ে তার ভাই আব্দুস সাত্তার আহত হলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ওইসময় সুলতান বেপারীর ভাইয়ের ছেলে সালাউদ্দিনসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। নিহতের পিতা ইউনুস আলী জানান, আহতদের মধ্যে খাদিজা ও আবু তালেবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও সালাউদ্দিন শেবাচিমের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল। শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, রবিবার সকাল দশটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাউদ্দিন মারা যায়।
×