স্টাফ রিপোর্টার,মুন্সীগঞ্জ ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, পদ্মা সেতুর ব্যয়ভার আর বাড়ার সম্ভবনা নেই। নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তাই এ ব্যয়ভার বাড়ার কথা নয়। সোমবার রাতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি চ্যানেল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
সাংবাদিকদের তারা জানান, পদ্মা সেতুর কাজের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। ৫০ ভাগ কাজ শেষের পথে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে কিনা সাংবাদিকদের এ রকম প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তার ভাল জানা নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য তিন মিলিয়ন ডলার আমরা দিতে পারব কিনা তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছিলেন। এখন এ ব্যয় ৪ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এবং এ অর্থ বাংলাদেশের জন্য কোন ব্যাপারই নয়।
এর আগে দুই মন্ত্রী বিকেলে লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজে পদ্মা সেতুর কাজ ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ চ্যানেল পরিদর্শন করেন। নৌ চ্যানেল সচল রাখতে অর্থমন্ত্রীর কাছে ২ শ’ কোটি টাকা ড্রেজিং বাবদ চেয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। এ কারণে অর্থমন্ত্রী নিজে প্রকল্প এলাকা দেখতে এসেছিলেন পদ্মা নদীতে।
পানগাঁও বন্দর পরিদর্শন
নিজস্ব সংবাদদাতা কেরানীগঞ্জ থেকে জানান, অর্থমন্ত্রী বলেন, পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেনার টার্মিনাল সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে অর্থায়ন করে চট্টগ্রাম বন্দরের ন্যায় সচল করা হবে। এজন্য সকল ব্যবসায়ীকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বন্দরটি সচল হবে। তিনি আরও বলেন, পণ্য খালাসে ট্যারিফ হ্রাস করা হলে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাবে। সোমবার বিকেলে পানগাঁও নৌবন্দরে ইনল্যান্ড কন্টেনার টার্মিনাল সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর খালিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, নূর-ই-আলম চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এনবিআর সদস্য লুৎফর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলের কর্ণধার বাদশা মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অশক মাদব রায় ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: