ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

৫ কোটি টাকার ক্ষতি

চাক্তাইয়ে পুড়েছে তিন রাইস মিল ও ৯ চালের দোকান

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৭ আগস্ট ২০১৭

চাক্তাইয়ে পুড়েছে তিন রাইস মিল ও ৯ চালের দোকান

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই এলাকায় আগুনে ভস্মীভূত ৩টি রাইস মিল ও ৯টি চালের দোকান। এতে পুড়েছে বিপুল পরিমাণ চাল এবং নগদ ৫০ লাখ টাকা। ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস এবং চাল ব্যবসায়ীরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়ে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। আগুনে পুড়ে গেছে ৩টি রাইস মিল এবং ৯টি দোকানে থাকা ১৭ হাজার ৩০০ বস্তা চাল। এছাড়া বেশ কয়েকটি মুদি দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি গাড়ি অকুস্থলে ছুটে গিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম জানান, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা লেনদেনে গৃহীত অর্থ জমা রাখতে পারেননি। তারা এ অর্থ রেখেছিলেন রাইস মিল এবং দোকানের ভল্টে। পুড়েছে নিউ আজমীর রাইস মিলের ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, হারুন ব্রাদার্সের ৩ লাখ টাকা, আরাফাত ট্রেডার্সের ৪ লাখ টাকা, মোহাম্মদিয়া ট্রেডার্সের ৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকা। ভস্মীভূত হয়েছে মূল্যবান কাগজপত্র এবং ব্যবসায়ীদের বাকির খাতাও। ভয়াবহ এ আগুনে মাথায় হাত পড়েছে চাক্তাই চালপট্টির ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানানো হয়, আগুনে মদিনা রাইস মিলের ২ হাজার বস্তা, মেসার্স হাজী জামানের ১ হাজার বস্তা, নিউ আজমীর রাইস মিলের ৪ হাজার বস্তা, মেসার্স সততা স্টোরের ৫০০ বস্তা, শাহানুর স্টোরের ৮০০ বস্তা চাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এছাড়া ভস্মীভূত হয়েছে আরও সাতটি দোকানের চাল। সবমিলে ১৭ হাজার ৩০০ বস্তা চাল পুড়েছে বলে জানান চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম। ব্যবসায়ী সমিতি জানায়, এ অগ্নিকান্ডের ফলে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে, আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমের ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এলেও সঙ্গে সঙ্গে নির্বাপণ কাজ শুরু করেনি বলেই ক্ষতি বেশি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস জানায়, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। চাক্তাইয়ে এ আগুন যখন লাগে তখনও বৈদ্যুতিক পিলারগুলোতে সংযোগ ছিল। পুরো এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থাও চালু ছিল। এমন অবস্থায় আগুন নেভাতে পানি ছড়ালে বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ করেই নির্বাপণ কাজ চালাতে হয়। তাছাড়া ফায়ার কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নিশ্চিত হতে হয়।
×