ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে পুঁচিয়ে ক্ষত স্থানে লবণ মরিচ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৩১ জুলাই ২০১৭

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে পুঁচিয়ে ক্ষত স্থানে লবণ মরিচ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ৩০ জুলাই ॥ মির্জাপুরে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে পুঁচিয়ে লবণ মরিচ দিল পাষ- স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে। পুলিশ পাষ- স্বামী জুয়েল দেওয়ানকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, গত তিন বছর আগে উপজেলা সদরের শ্রীহরি পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রুপা আক্তার (২০) এর সঙ্গে একই উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের হাসেম দেওয়ানের ছেলে জুয়েল দেওয়ানের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাত মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ইতোমধ্যে জুয়েল একই গ্রামের অপর এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। জুয়েলের স্ত্রী ঘটনাটি জানতে পেরে তাকে বাধা দেয়।। এতে স্বামী জুয়েল তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মাঝে মধ্যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। রবিবার সকালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী জুয়েল রুপার পিঠ ও অন্যান্য স্থানে ব্লেড দিয়ে পুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে এবং ক্ষতস্থানে মরিচের গুড়া ও লবণ ছিটিয়ে দেয়। এ খবর পেয়ে রুপার মা জাকিরন ও দাদি আছিয়া বেগম জুয়েলদের বাড়িতে গেলে জুয়েল তাদের আটকিয়ে রাখে। এ ব্যাপারে রুপার বাবা রফিকুল ইসলাম সন্ধায় মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে রুপাকে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করত। রবিবার সকালে নির্মমভাবে রুপাকে ব্লেড দিয়ে পুঁচিয়ে গুরুতর আহত করে এবং লবণ মরিচ লাগিয়ে দেয়। মির্জাপুর থানায় জুয়েলসহ চারজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এবং রুপার স্বামী জুয়েলকে গ্রেফতার করে। রুপার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, জুয়েল, তার বাবা হাসেম, মা রোজিনা বেগম, জা শিল্পী বেগমকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আজহারুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রুপাকে নির্যাতন ও তার মা এবং দাদিকে আটক রাখার বিষয়টি শুনেছি। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে বলে তিনি জানান। মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ জহিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
×