জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বহু বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানকে পাচার, অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে থাইল্যান্ডের এক শীর্ষস্থানীয় সেনাকর্মকর্তাসহ অন্তত ৪০ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার রায় দিয়েছেন এক থাই বিচারক। খবর বিবিসির।
এটি ছিল দেশটির ইতিহাসের বৃহত্তম মানবপাচার বিষয়ক একটি মামলা। এতে এক শ’রও বেশি মানুষের বিরুদ্ধে পাচার, অপহরণ ও হত্যাকা-ের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৫ সালে থাইল্যান্ডের সমুদদ্রতীরবর্তী একটি জঙ্গলে পাচারের শিকার হওয়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলে এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখে এক পর্যায়ে থাই কর্তৃপক্ষ পাচার চক্রের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। ওই সময়ে থাই-মালয়েশীয় সীমান্তে বহু গণকবরও আবিষ্কৃত হয়। যেগুলো ছিল মূলত পাচারের শিকার হওয়া বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের মৃতদেহে পূর্ণ। যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তাদের অধিকাংশই থাই, তবে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশেরও কিছু নাগরিক রয়েছেন।
এদের অন্যতম হলেন শীর্ষস্থানীয় থাই সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানাস কংপ্যান।
তিনি বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের থাইল্যান্ডে পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
বাকিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: