ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন শুরু

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১০ জুন ২০১৭

যশোরে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদারের নির্দেশনায় জলাবদ্ধ এলাকায় পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই আলোকে মুক্তেশ্বরী নদী হতে শ্রীকান্ত নগর হয়ে শংকরপুর নতুন বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার খাল খননের কাজ শুক্রবার শুরু হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ খনন কাজ সম্পন্ন হবে। যশোর পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহম্মেদ এ তথ্য জানান। ভারী বর্ষণে পৌর এলাকার ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেজপাড়া, বারান্দিপাড়া, বকচর, শংকরপুর, মিশনপাড়া, সিএ্যান্ডবি রোড়, উপশহর, চাঁচড়া, কারবালা, স্টেডিয়ামপাড়া, চোপদারপাড়া, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, খড়কি, চোরমারা দীঘিরপাড়, ষষ্টিতলা পাড়া, বাগমারাপাড়া, এমএম কলেজ এলাকা, খড়কী, সার্কিট হাউস রোড, টিবি ক্লিনিকপাড়া, নাজিরশংকরপুর, ছোটনের মোড়, আনছার ক্যাম্প মোড়, বকচর, বারান্দীপাড়া কদমতলা লিচু বাগান এলাকা, আবরপুর মোড় এলাকার খোয়ার রাস্তা এলাকা, বিশ্বাসপাড়াসহ শহরের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। এ নিম্নাঞ্চলের বদ্ধ পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ শংকরপুর বাস টার্মিনালের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু খাল। যা আবর্জনা জমে বদ্ধ হয়ে গেছে। আর এই বদ্ধ সরু খাল উন্মুক্ত ও প্রশস্ত করে মুক্তেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগ দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যশোর পৌরসভা। শংকরপুরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন-অর রশিদ জানান, ‘পৌরসভার এ উদ্যোগ প্রশংসাযোগ্য। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবেন। তিনি আরও বলেন, ‘বেজপাড়া ও শংকরপুর এলাকার মাঝে রেললাইন হওয়ায়ও পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। রেললাইনের নিচ দিয়ে তৈরি কালভার্টগুলো সরু হওয়ায় পানি বেরুতে পারছে না। এদিকটা সংস্কার করলে আরও ভাল হয়। খাল খনন কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেনÑ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হাসান, সহকারী প্রকৌশলী আহসান বারী, সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুম, কাজী শাপলা, রেজাউল ইসলাম, ওহেদুজ্জামান বাবলু, মাসুদ হোসেন প্রমুখ। সিরাজগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ব্রিটিশ শাসনামলের ঐতিহ্যবাহী কাটাখাল সংস্কার করে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তথা জনগণের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না শুক্রবার সকালে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এ তথ্য জানান। এ জন্য একজন পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা। আবহমান কাল থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কাটাখালী খালটি কালের পরিক্রমায় মরা খালে পরিণত হয়েছিল। কাটাখালী শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম। খালের জন্যই বৃষ্টি-বাদল যতই প্রবল হোক, অতীতে শহরে কোন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জনগণ আজ ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশে নদী খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাটাখাল সংস্কার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পে ৪১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা করে কাটাখালী প্রকল্পের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।
×