ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা প্রধান চ্যালেঞ্জ’

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ৮ জুন ২০১৭

‘এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা প্রধান চ্যালেঞ্জ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমাদের অনেক পানি। মাথাপিছু পানির পরিমাণ পার্শ¦বর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও আমরা ভাল নেই। এর কারণ আমাদের পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনা এখনও গড়ে ওঠেনি। সবার জন্য বিশুদ্ধ পানি সহজপ্রাপ্য করার ক্ষেত্রে পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রধান চ্যালেঞ্জ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ছয় নম্বর গোল (সবার জন্য সুপেয় পানি) অর্জন করতে হলে নদীভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পল্লী-কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে জাতীয় পানি সম্মেলনের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব বিষয় উঠে আসে। পিকেএসএফ, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ ও এনজিও ফোরাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় পানি সম্মেলনে আসা বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে তৈরি বই প্রকাশ করা হয়। পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম। স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল করিম। অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নদী ও ভূগর্ভস্থ পানির সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সচেতন। পানি বিষয়ক বিশ্বনেতাদের ফোরামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। অনুষ্ঠানে হাওড় অঞ্চলে সাম্প্রতিক অকাল বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পাউবোসহ সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দোষারোপকারীদের সমালোচনা করে পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, হাওড় নিয়ে পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত অনেকেই তাদের কথাবার্তায় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। বাস্তবানুগ কথা বলেননি। এটা নিয়ে অকারণ উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এখন হাওড়ে যে ধান হয় এটি পাকতে পাঁচ মাসের বেশি সময় লাগে। এর সুরক্ষাতেই ডুবন্ত বাঁধ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। হাওড়ের বাঁধগুলো যে ডুবন্ত সে কথা কোন পানি বিশেষজ্ঞ একবারও বলেন নাই। পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেছেন হাওড়ে নাকি কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। সুনামগঞ্জে বাঁধের জন্য দিয়েছি ২০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা যদি শত শত কোটি টাকা হয় তাহলে তো ভালই। মন্ত্রী বলেন, এবার ভারতের চেরাপুঞ্জিতে মাত্র সাতদিনে মোট বৃষ্টিপাতের ২০ শতাংশ হয়েছে। হাওড় অঞ্চলে একযোগে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জ থেকে চেরাপুঞ্জির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এই অতিবৃষ্টির ফলে প্রবল বেগে পানি চলে এসেছে। কোন বিশেষজ্ঞ এই অতিবৃষ্টির কথাটি বলতে শুনিনি।
×