ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাধবপুরে জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মাধবপুরে জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন

সংবাদদাতা, মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ॥ বাঘাসুরা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে গভীর রাতে জামাতার হাতে শ্বশুর খুন ও শাশুড়ি, শ্যালিকাসহ চার জন গুরুতর আহত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে শায়েস্তাগঞ্জ থানার সোরাবই গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে সাজু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রতনপুর গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে নুর জাহানের। বিয়ের পর থেকেই সাজু মিয়ার সঙ্গে নুর জাহানের বনিবনা হচ্ছিল না। মাঝে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। আবার পুনরায় সম্পর্ক জোড়া লাগে। শুক্রবার গভীর রাতে সাজু মিয়াসহ কয়েক সহযোগী রতনপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শ্বশুর কামাল মিয়াকে আহত করে। এ সময় কামাল মিয়ার স্ত্রী সাহেরা খাতুন, মেয়ে নুর জাহান (২৫), নেক জাহান (১৮) ও ভাগিনা স্বপন মিয়া (১৯) বাধা দিলে তাদের কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশী ছুটে এলে সাজু মিয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কামাল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। বাকিদের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কটিয়াদিতে ছেলের হাতে মা নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কটিয়াদীতে আপর ছেলের হাতে রেহেনা আক্তার (৫৮) নামে এক বৃদ্ধ মা খুন হয়েছেন। শনিবার দুপুরে সহস্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নের হাসারকান্দা গ্রামে নিজ ঘর থেকে পুলিশ ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে ফিরোজ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হাসারকান্দা গ্রামের মৃত কালু মিয়ার স্ত্রী রেহেনা আক্তারের সঙ্গে ছেলে ফিরোজ মিয়ার পারিবারিক নানা বিষয়ে কলহ চলছিল। এর জের ধরে শনিবার ভোরে মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ফিরোজ। সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ দেখে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে ঘরের ভেতর বৃদ্ধার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। নরসিংদীতে ভাতিজার হাতে চাচা নিজস্ব সংবাদদাতা নরসিংদী থেকে জানান, ভাতিজার টেঁটার আঘাতে চাচা ফিরোজ আলী (৫০) খুন হয়েছে। রায়পুরা উপজেলার চরসুবদ্দী ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামে শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাতিজা অটোরিক্সা চালক সফিকুল চাচা ফিরোজ আলীর কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজা ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাকে টোঁদিয়ে আঘাত করে । গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গ্রাম্য ডাক্তার আসাদ মিয়ার কাছে তাকে নেয়া হয়। পরে রাতেই তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ফরিদপুরে ভায়রার হাতে ভায়রা নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ভায়রা বাচ্চু খানের রডের আঘাতে নিহত হয়েছেন আরেক ভায়রা আজাদ শেখ (২৫)। শনিবার সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর শহরের হাবেলী গোপালপুর মহল্লার ডগবস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ বাচ্চু খানকে আটক করে। তবে কোতোয়ালি থানায় ঢোকানোর সময় বস্তিবাসী বাচ্চুকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বস্তিবাসীর ধস্তাধস্তি হয়। নিহত আজাদ শেখ ডগবস্তি এলাকার হারুন শেখের ছেলে। আজাদ শেখ ও বাচ্চু খান উভয়েই শহরের রেলস্টেশন সড়কে অবস্থিত লাকী ডেকরেটরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাচ্চু খান প্রায়ই তার স্ত্রী আঁখি বেগমকে মারপিট করতেন। শনিবার সকালে বাচ্চু তার স্ত্রীকে মারপিট করা শুরু করলে ভায়রা আজাদ তাকে বাধা দেয়। এ ঘটনায় বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে আজাদের ঘাড়, হাত, পিঠ ও পা পেঁচিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে। নকলায় যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা শেরপুর থেকে জানান, নকলায় সালিশ বৈঠকে তর্কাতর্কির জেরে প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুর্শাবাদাগৈড় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুজ্জামান রুবেল (৩০) বাদাগৈড় এলাকার কিতাব আলীর ছেলে। শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ওই ঘটনায় সুজন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা যায়, মোবাইল চুরির ঘটনাকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার লক্ষ্যে বসা সালিশ বৈঠকে চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজের এমএলএসএস একই এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে হাসান আলী তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রুবেলের ওপর আক্রমণ করে সজোরে কিলঘুষি দিলে ঘটনাস্থলে সে জ্ঞান হারায়। পরে দ্রুত রুবেলকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কসবায় কবিরাজ স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, কসবায় ফরিদ মিয়া (৪৭) নামে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে নিহতের নিজ বাড়ি থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার কাইয়ূমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি পেশায় কবিরাজ ছিলেন। কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে কে বা কারা ফরিদ মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। সিলেটে লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোটার সিলেট অফিস থেকে জানান, শনিবার সকালে দক্ষিণ সুরমার লামা হাজরাই গ্রামের ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত পরিচয় (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
×