ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফসলি জমিতে ১২ ইটভাঁটি ॥ হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

ফসলি জমিতে ১২ ইটভাঁটি ॥ হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

সংবাদদাতা, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, ২৪ ডিসেম্বর ॥ পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি নষ্ট করে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ১২টি ইটভাঁটি স্থাপন করেছে। এসব ইটভাঁটির বিষাক্ত ও কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলার সেনগাঁও, বৈরচুনা ও ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নে স্থাপিত ইটভাঁটিগুলোর আশপাশে রয়েছে মানুষের বসতবাড়ি ও গাছপালা। গাছপালা অন্য ইটভাঁটিগুলোর পাশে আবাদী জমিতে চলতি মৌসুমের গম ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা হয়েছে। ইটভাঁটির কারণে কৃষকরা ভাল ফসল না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। অবৈধভাবে ইটভাঁটি স্থাপন, আবাদী জমির মাটি কেটে ইটভাঁটিতে মাটি সংগ্রহ ও জ্বালানি হিসেবে প্রচুর পরিমাণ কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বনজ সম্পদ উজার হয়ে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন। ইটভাঁটিগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক কাঠ ব্যবহার করার কারণে এলাকায় কাঠ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পরিবেশ ছাড়পত্র, লাইসেন্সবিহীন ও অপরিকল্পিতভাবে ইটভাঁটি গড়ে ওঠার কারণে বিভিন্ন গ্রামে জীববৈচিত্র ও জনবসতি হুমকির মুখে পড়েছে। ইটভাঁটির মালিকরা রাজনৈতিক দলের, বিত্তবান ও প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। ইটভাঁটির মালিক সমিতির সভাপতি শাহ্জাহান আলী জানান, কয়েকটি নতুন ইটভাঁটির লাইসেন্স নেই। স্থানীয়ভাবে লোকজনকে ম্যানেজ করেই ইট পোড়ানো হচ্ছে।
×