ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া চ্যারিটেবল মামলা

নির্দোষ দাবি খালেদার, পরবর্তী শুনানি ৮ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

নির্দোষ দাবি খালেদার, পরবর্তী শুনানি ৮ ডিসেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলায় আদালতের কাছে সুবিচারও চেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জানিয়েছেন, তিনি সাফাই সাক্ষী হাজির করতে চান। আত্মপক্ষ সমর্থনের আগে এ মামলার ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দী তাকে পড়ে শোনানো হয়। পরে খালেদা প্রায় ১৫ মিনিট তার যুক্তি বিচারকের সামনে তুলে ধরে বলেন, ওসব সাক্ষ্যে যে বক্তব্য এসেছে তা সঠিক নয়। এদিন শুনানিতে একটি লিখিত বক্তব্যও নিয়ে এসেছিলেন তিনি। পরে শুনানি শেষে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ৮ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন। সেদিন খালেদা জিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনে আরও বক্তব্য দেবেন। পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের মাঠে এ আদালতেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। খালেদার পাশাপাশি তার ছেলে তারেক রহমানও এ মামলার আসামি। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এদিন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরা করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের আইনজীবীরা। বিচারের শেষপর্যায়ে থাকা এ মামলায় ৮ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ রাখা হয়েছে। এ দুটি মামলায় এর আগে শুনানি হয় গত ২১ নবেম্বর। সেদিন খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে যায়। আর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন সেদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেন। সেদিনই বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলা দুটির শুনানির জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন। সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় খালেদা গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের পথে রওনা হন বলে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান। এদিকে খালেদার হাজিরার দিন থাকায় সকাল থেকেই আদালত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
×