ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চার বছরে শেষ হয়নি বহুতল চাল গুদাম

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১১ নভেম্বর ২০১৬

চার বছরে শেষ হয়নি বহুতল চাল গুদাম

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ১০ নবেম্বর ॥ বগুড়ার সান্তাহারসহ দেশের একাধিক স্থানে বহুতল গম গুদাম থাকলেও বহুতল চাল গুদাম ছিল না। এবার শেখ হাসিনা সরকার সেটিও নির্মাণ করল। সান্তাহার খাদ্যশস্য (গম) সাইলো ক্যাম্পাসে নির্মিত হলো দেশের প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বহুতল চাল গুদাম মাল্টি ওয়্যার হাউস। ২০১২ সালে ‘সান্তাহার বহুতল খাদ্যগুদাম নির্মাণ প্রকল্প’ নামক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিল ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর দুই দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও এখনও পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। অথচ বিদেশী পরামর্শক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চলে গেছে বছরখানেক আগে। তাঁরা বিশালকায় ভবনের বাহিরের দেওয়াল ও পিলারগুলো প্লাস্টার ও রং করণের কাজ করলেও ছাদের নিচে (সিলিং) প্লাস্টার ও রং না করে অসমাপ্ত অবস্থায় রেখে গেছে। ফলে প্রথম নজরেই দৃষ্টিকটু লাগছে সব দর্শনার্থীর। কিন্তু সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ক্ষমতাধর প্রকল্প পরিচালকের। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবকে খাদ্য অধিদফতরের এই প্রকল্পের পরিচালক করা নিয়ে রয়েছে দ্বিমত। কিন্তু তার ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে টু-শব্দ করতে সাহস পায় না। প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা ২০০৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিন দফায় সান্তাহার সাইলো অধিক্ষক থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে বহু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না। এ কারণে সান্তাহার সাইলোর প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারী ও আশপাশ বাসিন্দাদের কাছে তিনি ‘ফকরুদ্দিন’ (ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান) নামে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত। নবনির্মিত গুদামটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং মজুদ চালের গুণগতমান সারা বছর অক্ষুণœ থাকবে বলে দাবি করা হলেও পরীক্ষামূলকভাবে রাখা চালে পোকা ধরে। বিদ্যুতের লোডশেডিং বা বিদ্যুত বিপর্যয়ের সময় বিদ্যুত সরবরাহ যাতে বিঘিœত না হয় সেজন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বিশাল ভবনের পুরো ছাদ জুড়ে সৌর প্যানেল বসানো হলেও সেখান থেকে কোন বিদ্যুত মিলছে না বলে জানা গেছে। এখনও শেষ হয়নি আভ্যন্তরীণ রাস্তা, নতুন রেললাইন ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ কাজ। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি নবেম্বর মাসের শেষ নাগাদ এই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১০ নবেম্বর ॥ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন লেগুনা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় তার সহযোগীরা লেগুনা চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। এমনকি চালকদের মারধর করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের তেঘরিয়া নতুন রাস্তার মোড় থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ওই রুটে কয়েক মাস ধরে ‘রাজৈন্দ্রপুর পরিবহন’ নাম দিয়ে বেশকিছু লেগুনা ছাড়া হয়। লেগুনা মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, ওই সড়কে লেগুনা চলাচল করলে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন আব্দুল কাদির। টাকা না দেয়ায় বিভিন্নভাবে চালক ও শ্রমিকদের হয়রানি করছেন। কয়েক দিন পূর্বে আজিম নামে এক চালককে মারধর করেছেন। এভাবে চলতে থাকলে গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। আমরা প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল কাদির বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। আমি কারও কাছে চাঁদা চাইনি।
×