ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক বিমা চালুকরণ এবং শ্রম খাতে সংস্কারের পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ২০ অক্টোবর ২০১৬

সামাজিক বিমা চালুকরণ এবং শ্রম খাতে সংস্কারের পরামর্শ বিশ্বব্যাংকের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা এবং শ্রম খাতের অগ্রগতিতে চারটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। এগুলো হলো- ব্যাপক মাত্রায় দারিদ্রের বিস্তার, কর্মক্ষম বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, শ্রমবাজারে লিঙ্গ বৈষম্য এবং দুর্বল শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থা। এছাড়া কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সামাজিক বিমা চালু করা এবং বিদ্যমান শ্রমবাজারে সংস্কার করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সোসাল প্রোটেকশন এন্ড লেবার রিভিউ: টুওয়ার্ডস স্মার্ট সোসাল প্রোটেকশন এন্ড জবস ফর দি পুওর শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ সাধারন অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, দারিদ্র বিমোচনে সাফল্য দেখালেও সামাজিক বিমা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি, ক্ষুদ্র ঋণ এবং শ্রম বাজার কর্মসূচিতে বাংলাদেশের আরও অনেক কিছু অর্জনের সুযোগ রয়েছে। যেমন, বর্তমানে সরকারী কর্মচারীরাই কেবল পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন। অন্য কোন খাতে এই সুবিধা নেই। তাই বেসরকারি খাতের জন্য পেনশন সুবিধা চালু করতে হবে। ক্ষুদ্র ঋণের পরিচালন ব্যয় ও সুদের হার এখনও অনেক বেশি। বর্তমানে এই সুদের হার সবর্চ্চো ২৭ শতাংশ। যা দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। দারিদ্র বিমোচনে সরকারের নেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচীর অবদান রয়েছে। তবে কর্মসূচীর আওতাধীন উপকারভোগীর সংখ্যা দরিদ্রদের মোট সংখ্যার চেয়ে কম। তাই কর্মসূচীর আওতা বাড়ানো, প্রায় অভিন্ন কর্মসূচী গুলোকে একটি কর্মসূচীতে রুপান্তর করে ব্যয় সাশ্রয় করা উচিত। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১ কোটি ২৯ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এটি অর্জন করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। কর্মক্ষম মানুষকে কাজ দিতে না পারা একটা ব্যর্থতা। আমরা ব্যর্থ হতে চাইনা। সরকার যেভাবে এগুচ্ছে সব মানুষকে কর্মক্ষম করতে পারবো। সাধারন অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, পাওয়ার এন্ড পার্টিশিপেশন রির্সাচ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনা প্রতিষ্ঠানের গবেষনা পরিচালক ড. রুশিদান ইসলাম রহমান, সমাজকল্যাণ সচিব জিল্লার রহমান প্রমুখ।
×