
অনলাইন রিপোর্টার॥ আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে আগামীকাল শুক্রবার থেকে তিন দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করছে পুলিশ। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনের দুই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে, নিয়ন্ত্রণ করা হবে ঢাকার আরও বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল। সম্মেলনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন। সম্মেলনের দুই দিন ঢাকায় গাড়ি চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে বিজয় সরণি হয়ে ভিআইপি রোডের সব গাড়ি রূপসী বাংলা-শাহবাগ-টিএসসি হয়ে ডানে মোড় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে।
সকাল ৮টা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না পৌঁছানো পর্যন্ত ভিআইপি রোডে (হেয়ার রোড-রূপসী বাংলা-সোনারগাঁও-বিজয় সরণি) গাড়ি প্রবেশ করবে না। উত্তরা হয়ে মহাখালী ফ্লাইওভারের গাড়িগুলো মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে অর্থাৎ মহাখালী টার্মিনাল-মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-রাজমনি ক্রসিং-নাইটিংগেল-ইউবিএল-জিরোপয়েন্ট-আবদুল গনি রোড-হাইকোর্ট ক্রসিং-দোয়েল চত্বর দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকবে।
প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের পর ভিআইপি রোড স্বাভাবিক থাকবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলনস্থল ত্যাগের প্রায় দুই ঘণ্টা আগে মৎস্য ভবন, কাকরাইল চার্চ থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় কদম ফোয়ারা দক্ষিণের গাড়ি ইউবিএন-নাইটিংগেল-কাকরাইল চার্চ-মগবাজার দিয়ে মহাখালী যেতে পারবে।
গতকাল বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এসএসএফের নির্দেশনা অনুযায়ী এই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে পুরো ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার কথা বলেছেন তিনি। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ২১ অক্টোবর থেকে পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এসবি, র্যাব ও মহানগর পুলিশের ডগ স্কোয়াড দিয়ে উদ্যানের প্রতি ইঞ্চি সুইপিং করা হবে। প্রোপার সুইপিংয়ের পরে এটার দায়িত্ব গ্রহণ করব। তারপর থেকে শুধু অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।