ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভিন্নমত পোষণকারী বিচারপতির রায় এখনও আসেনি

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১২ আগস্ট ২০১৬

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় প্রকাশ

বিকাশ দত্ত ॥ উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে এক শ’ ৬৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে ৫ মে সুপ্রীমকোর্টের ৯ আইনজীবীর করা একটি রিট আবেদনে দেয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে এই রায় দেন। রায়টি লিখেছেন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি কাজী রেজাউল হক। তবে কনিষ্ঠ বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। যে দুই বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন তাদের রায় প্রকাশিত হলেও বেঞ্চের অন্য বিচারপতির রায় এখনও আসেনি। এই রায় প্রকাশের পর এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, তিনজন বিচারপতির সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রায় হয়েছিল, বৃহস্পতিবার দুই জন বিচারপতির রায় প্রকাশিত হয়েছে। বাকি বিচারপতির রায় প্রকাশ হলে এক সঙ্গে দেখে এই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপীলের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই মামলায় হাই কোর্টে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অর্থাৎ দুই বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন, এই রায় প্রকাশিত হয়েছে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের দেয়া রায় এখন প্রকাশের অপেক্ষায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা রায় অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর বিষয়টি শুনানির জন্য চেম্বার বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’ ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নবেম্বর সুপ্রীমকোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে এ রিট আবেদন দায়ের করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৯ নবেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২১ মে রুলের শুনানি শুরু হয়। গত বছরের ১০ মার্চ এ রুলের শুনানি শেষে ৫ মে রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, ‘বলতে দ্বিধা নেই, ষোড়শ সংশোধনী একটি কালারেবল লেজিসলেশন (কোন কাজ সংবিধানের মধ্যে থেকে করার সুযোগ না থাকলে আইনসভা যখন ছদ্ম আবরণে ভিন্ন প্রয়োজনের যুক্তি দেখিয়ে একটি আইন তৈরি করে), যা রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ নীতির লঙ্ঘন। এটা সংবিধানের দুটি মূল কাঠামো ৯৪(৪)ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদেরও লঙ্ঘন। একইসঙ্গে সংবিধানের ৭(বি) অনুচ্ছেদকেও আঘাত করে।’ সংবিধানের ৭ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে? ৯৪ (৪) অনুচ্ছেদে রয়েছে- এই সংবিধানের বিধানাবলী-সাপেক্ষে প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারক বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন। আদালত তার রায়ে বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী। সংসদ কর্তৃক বিচারপতি অপসারণের বিধান একটি দুর্ঘটনা মাত্র। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এটা সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ এবং সংবিধানের ৭(খ) তে মৌলিক স্তম্ভ পরিবর্তন করে আইন করার বিধান নেই। তা সত্ত্বেও ১৬তম সংশোধনী মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ করা সংসদের হাতে নেয়া একটি ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা। রায়ে সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ওই অনুচ্ছেদের কারণে দলের সংসদ সদস্যরা হাইকমান্ডের কাছে জিম্মি। নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারেন না। বিভিন্ন উন্নত দেশে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে আমাদের দেশের সংসদ সদস্যদের দলের অনুগত থাকতে হয়। বিচারপতি অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তাঁরা দলের বাইরে যেতে পারেন না। রায়ে বলা হয়, এই সংশোধনী থাকলে বিচারপতিদের সংসদ সদস্যদের করুণাপ্রার্থী হয়ে থাকতে হবে। যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। আদালত তার রায়ে আরও বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলো ৬৩ ভাগ ক্ষেত্রে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নয়। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা ভারতে ২টি ক্ষেত্রে এ অপসারণের ক্ষমতা সুখকর নয়। এ ছাড়া এ আইনে সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের সমর্থনা পেলে একজন বিচারককে সে অদক্ষ হলেও অপসারণ করা যাবে না। তা হবে বিচার বিভাগের জন্য লজ্জাকর। এ ছাড়া এ আইন প্রণয়নের ফলে জনগণের মনে একটি ধারণা হলো বিচার বিভাগের উপর খড়গ সৃষ্টি করা হয়েছে। সুতরাং বিচার শুধু করলেও হবে না বিচার করার মাধ্যমে জনগনের মাঝেও ধারণা সৃষ্টি করতে হবে ন্যায় বিচার হয়েছে। কিন্ত জনগণের এ ধরনের ধারণা থাকলে স্বাধীনভাবে বিচার পরিচর্যা হলেও জনগণের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পর্ক বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হবে। এই রুলের উপর গত বছর ২১ মে শুনানি শুরু হয়। ওইদিন আদালত মতামত দিতে এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ পাঁচ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি এই শুনানিতে এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। ১৭ দিন শুনানির পর গত ১০ মার্চ আদালত এ বিষয়ে রায়ের দিন ঠিক করে দিয়েছিল। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে অংশ নেন। এ্যমিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন শুনানিতে বলেন, সংবিধানের ১৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়ার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে। তিনি আরও বলেন, ৭২ এর সংবিধান প্রণয়নের সময় এ সংক্রান্ত বিষয় আইন প্রণেতাদের তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। যার কারণে অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার সুয়োগ ছিল না। তবে ৪০ বছরের অভিক্ষতার আলোকে বর্তমান সংসদের হাতে এ ক্ষমতা দেয়াটা সমীচীন নয়। সংবিধানের আর্টিক্যাল ৭ খ বহাল থাকা অবস্থায় এ ধরনের সংশোধনীর কোন সুযোগ নেই। কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের একটি মূল স্তম্ভ। এ্যামিকাস কিউরি ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম শুনানিতে বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মূল স্তম্ভ। আমাদের উচ্চ আদালতে সিদ্ধান্তে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মূল স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন যদিও সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া হয়েছে। কিন্ত এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকার বিষয় আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। রাষ্ট্রপক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে বলেছিলেন, বিচারপতিদের অপসারণের প্রক্রিয়া আগে ছিল সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে। ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সংসদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি এই অপসারণ করবেন। আর সংসদ তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ দেবে। ওই তদন্ত কমিটি কীভাবে গঠিত হবে সে বিষয়ে একটি বিল এখন পর্যন্ত বিবেচনাধীন জানিয়ে তিনি শুনানিতে বলেন, ‘এটি আইনে পরিণত হলেই কিন্তু এ বিষয়ে কারণ (কজ অব এ্যাকশন) উদ্ভব হবে। কাজেই আমার বক্তব্য হলো, জনস্বার্থ হিসেবে যারা মামলাটি করেছেন- তাদের মামলা করার সময় আসেনি। আইন হওয়ার পরে আইনে যদি কোন রকম ব্যত্যয় হয়, দেখা যায় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক- তখনই কারণ উদ্ভব ঘটবে এটা চ্যালেঞ্জ করার।’ এ কারণে রিট আবেদনটি ‘মেনটেইনেবল না’ (গ্রহণযোগ্য নয়) বলে যুক্তি দেখান তিনি। অন্যদিকে রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ শুনানিতে বলেছিলেন, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে বিচারকের অপসারণের বিধানটি ছিল। পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ে আপীল বিভাগও সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওই বিধানটি সুরক্ষা দিয়েছিল। এই সুরক্ষার পর পঞ্চদশ সংশোধনী যখন পাস হয়, তখন সংসদ ওই ৯৬ অনুচ্ছদকে সংরক্ষিত করেছিল। হঠাৎ করে কিছুদিন পরে ৯৬ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করে এই ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পরিবর্তন হয়েছে সংবিধানের মৌল কাঠামোকে পরিবর্তন করে। কারণ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে থাকা ৭(বি) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মৌল কাঠামো পরিবর্তন করা যাবে না। ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। মার্শাল প্রক্লামেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয় সংসদকে। ষোড়শ সংশোধনীর ৯৬(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ছাড়া কোন বিচারককে অপসারিত করা যাবে না।’ ৯৬(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দফা (২) এর অধীন প্রস্তাব সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং কোন বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সেই তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি এবং অপসারণের প্রক্রিয়া ঠিক করে তৈরি একটি আইনের খসড়ায় গত ২৫ এপ্রিল নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। রায়ে আরও বলা হয়েছে, ‘রুল যথাযথ (এ্যাবসলিউট) ঘোষণা করা হলো। ষোড়শ সংশোধনী আইন-২০১৪ কালারেবল, এটি বাতিল এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হলো। সংবিধান-ব্যাখ্যার বিষয়ে আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের ১০৩(২)(ক) অনুসারে সনদ দেয়া হচ্ছে।’ সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদে আপীল বিভাগের এখতিয়ার সম্পর্কে বলা আছে। ১০৩(২) বলছে, হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি, আদেশ বা দ-াদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগের কাছে সেই ক্ষেত্রে অধিকারবলে আপীল করা যাবে, যে ক্ষেত্রে হাই কোর্ট বিভাগ (ক) এ মর্মে সার্টিফিকেট দান করবেন যে, মামলাটির সঙ্গে এই সংবিধান-ব্যাখ্যার বিষয়ে আইনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। ২০১৪ সালে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী গত মে মাসে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার রায়ের পর তা রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়িয়েছিল, সংসদেও ওয়াকআউটও হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, হাইকোর্টের এই রায় ‘সংবিধান পরিপন্থী’। এটি আপীলে টিকবে না।
×