ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় রেললাইন ঘেঁষে অবৈধ মার্কেট, ঝুঁকিতে ক্রেতা

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১৯ জুন ২০১৬

বগুড়ায় রেললাইন ঘেঁষে অবৈধ মার্কেট, ঝুঁকিতে ক্রেতা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ কেউ কারও কথা শোনে না। একটু সাশ্রয়ী হতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ছুটছে রেললাইনের ধারে গজিয়ে ওঠা মার্কেটে। ঈদকে সামনে রেখে বগুড়ায় কথিত এই মার্কেট আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। কিছুদিন আগেই রেলগাড়ির নিরবচ্ছিন্ন চলাচলে এবং দুর্ঘটনা রোধে ভাসমান এই কথিত মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়। দিন কয়েকের মধ্যে ফের গজিয়ে ওঠে। অভিযোগ মেলে একশ্রেণীর দুর্নীতিপরায়ন রেল কর্মচারী ও প্রভাবশালী চক্রের সরাসরি মদদে এই মার্কেট চলছে। মার্কেটের দোকানীরা বলেন, প্রতিদিন তারা কয়েকজনের কাছে ভাড়া দেয়। এই ভাড়া ‘তোলা’ নামে পরিচিত। বগুড়া শহরের স্টেশন রোডের ধারে রেলস্টেশনের কাছে বহু আগে পাকা ও আধাপাকা ঝুপড়ি ঘর তুলে গড়ে ওঠে হকার্স মার্কেট। এই মার্কেটের পশ্চিম দিকে রেললাইনের ধারে কোথাও ঝুপড়ি ঘর কোথাও মাটিতে পসরা সাজিয়ে বেচাকেনা হচ্ছে জামা-কাপড়, থ্রিপিস, বিছানার চাদও, পাদুকাসহ নানা সামগ্রী। ট্রেন যাওয়ার পর কখনও লাইনের ওপর পসরা সাজানো হয়। ঈদের আগে এই মার্কেটে স্বল্প আয়ের মানুষের কেনাকাটায় ভিড় বেড়েছে। রেললাইনের দুই ধারে এমনভাবে পসরা সাজিয়ে রাখা হয় ট্রেন চলাচলে মনে হবে মার্কেটের ভিতরে দিয়ে ট্রেন ঢুকছে। মার্কেটে ঘুরতে সামান্য বেখেয়াল হলে ট্রেনে কাটা পড়তে সময় নেবে না। ইতোমধ্যে এই মার্কেটে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঈদের আগের সময়টায় মার্কেটে বেশি লোকের প্রবেশে যে শোরগোল হয় তাতে অনেক সময় ট্রেনের শব্দ শোনা যায় না। ট্রেনের টানা হুইসেলে সহসা কেউ সাবধান হয় না। এমন অবস্থা হয় ট্রেন চলে রেললাইনে দুই ধারে খুবই কাছে থাকা লোকজনের মধ্য দিয়ে। এমন ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ঈদের কেনাকাটা সারছে লোকজন। প্রশাসন দেখে না। রেল কর্তৃপক্ষ নীরব। রেলের নিয়মে রেল পথের দুই ধারে অন্তত ৪০ মিটার করে জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। এই নিয়ম মানা হয় না। সন্ত্রাসী ও প্রভাশালীরা এই নিয়ম না মেনে ভয়াবহ ঝুঁকির কথিত মার্কেট পরিচালনা করছে। ঈদের আগে জামা চাই ॥ দর্জিরা ব্যস্ত তাই নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৮ জুন ॥ ঈদের আনন্দে নতুন জামা কাপড় থাকবে না, তা কি হয়! পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে তাই নতুন জামাকাপড় তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঠাকুরগাঁওয়ে দর্জি কারিগররা। তাদের হাতে এখন অন্য কিছু করার সময় নেই, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করতে হবে। পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় করছে ক্রেতারা। দর্জি কারিগর সকাল থেকে শুরু করে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা পার করছে সেলাইয়ের কাজ। তাদের দম ফেলার সময় নেই। কেউ মাপ নিচ্ছে, কেউ কাপড় কাটছে, কেউ সেলাই করছে, কেউবা বোতাম লাগিয়ে ইস্ত্রি করে অর্ডার বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তৈরি জামা সাজিয়ে রাখছে। এখন আর অর্ডার না নিলেও ঈদের আগে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর এই সব কাজ সময়মতো দেয়ার জন্য অনেকে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করেছে।
×