ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিরল প্রজাতির রূপালি সাপ

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৭ মে ২০১৬

বিরল প্রজাতির রূপালি সাপ

অনলাইন ডেস্ক॥ দক্ষিণ বাহামার জনমানবহীন এক দ্বীপে ঢুঁ মারলেন বিজ্ঞানীরা। ভাগ্যক্রমে এক বিজ্ঞানীর চোখে পড়ে গেলো সাপটিকে। একটি গাছ বেয়ে উঠে যাচ্ছে। এটা সিলভার স্নেক গোত্রের নতুন এক প্রজাতি যার অস্তিত্ব দারুণ সংকটের মুখে। বায়োলজিস্ট আর. গ্রাহাম রেনল্ডস জানান, আমরা দ্রুত সাপটিকে চিহ্নিত করলাম। বুঝে ফেললাম, রূপালি সাপের এক বিরল প্রজাতি এটি। এ দলে ছিলেন অভিযাত্রী দলের আরেক সদস্য আলবার্তো পুয়েন্টে-রোলন। তিনি ক্যারিবিয়ান বোয়া সাপ বিশেষজ্ঞ। তার মতেও, এই সাপটি বিরল। দলটি সেখানে যায় বোয়া সাপদের খুঁজে বের করতে। কিন্তু এই বিরল বোয়া সাপটির দেখা যাওয়া দারুণ এক অভিজ্ঞতা। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার বায়োলজিস্ট রেনল্ড জানান, রাতে ঘুমানোর পর ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মুখে বেয়ে সরসর করে কছিু চলে যাচ্ছে। তাকিয়ে দেখি একটি সাপ। ওটাও একটা সিলভার বোয়া। নতুন দেখা সাপটির ডিএনএ টেস্ট করেন তারা। সত্যিকার অর্থেই এটি নতুন প্রজাতির সাপ। বিজ্ঞানীরা এর নাম দেন কনসেপশন ব্যাঙ্ক সিলভার বোয়া (চিলাবোথরাস আর্জেন্টাম)। এর রং নজরকাড়া। ব্রিভিয়োরা জার্নালে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ই দ্বীপের অন্যান্য যেসব বোয়া দেখা যায় তাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতির এটি। এর দেহে গাঢ় রংয়ের দাগ রয়েছে। নতুন বোয়াটি কেবন যেন বিবর্ণ মনে হয়। আবার এরা গাছে চড়ে। সাধারণত পাখি এদের খাবার। রেনল্ড জানান, এই বোয়াগুলো জোট বেঁধে এই দ্বীপেই থাকে। বাহামার অন্যান্য দ্বীপে এদের দেখা যায় না। এদের একমাত্র আবাস কনসেপশন আইল্যান্ড ব্যাঙ্ক। গোটা পৃথিবীর এই ছোট্ট এক দ্বীপেই রয়েছে এরা। সংখ্যায় হাজার খানেকের বেশি হবে না। সুখবরটি হলো, কনসেপশন আইল্যান্ড ব্যাঙ্ক একটি ন্যাশনাল পার্ক হিসাবে সুরক্ষিত। কাজেই সেখানে যে কেউ ঢুকে প্রাণীদের জীবন বিপর্যস্ত করতে পারবে না। কাজেই এই বিরল প্রজাতির সাপের জীবন নিরাপদ বলা যায়। একে বাড়তি সুরক্ষা দিতে রেনল্ড এবং তার দল বাহামাস ন্যামনাল ট্রাস্ট-এর সঙ্গে কাজ করছে। এরা সব ন্যাশনাল পার্কগুলোকে সুরক্ষা দেয়। তবুও তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েই থাকে। যেকোনো প্রাকৃতির দুর্যোগে এদের সবাই মারা পড়তে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য শিকারী জন্তু ও পোচারদের ভয় থেকেই যাচ্ছে। কনসেপশন আইল্যান্ড ঘিরে এদের আনাগোনা ঠিকই আছে। তাই অন্তত এ দ্বীপের শিকারি বিড়ালগুলোকে অন্য কোথাও সরানো যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র : ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
×