স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর নিকুঞ্জে চার তারকা ‘হোটেল রিজেন্সি’র বার থেকে জব্দ করা অবৈধ মদের হিসাব চূড়ান্ত করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। দুই দফায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা মদের পরিমাণ ২৭ টন। শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ডক্টর মইনুল খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একটি অবৈধ গাড়ি খুঁজতে গিয়ে গত ২৮ এপ্রিল ওই হোটেলে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা। এ সময় এমপি স্টিকারযুক্ত একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি ধরতে গেলে তা পালিয়ে যায়। পরে হোটেলের ১৪ তলায় অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই ২০০ বোতল মদ আটক করা হয়। এর দুই দিন পর ১ মে আরেকটি দল হোটেলের আন্ডারগ্রাউন্ডের গোপন স্টোর রুম থেকে এই মদের বোতল আটক করে। এ সময় ওই হোটেল থেকে তিনটি ব্যবসায়িক রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়। পরে এসব রেজিস্টার পরীক্ষায় দেখা যায়, হোটেল কর্তৃপক্ষ ২০০৯ থেকে প্রায় ২৭ টন মদ ব্যবহার করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালে ৬.৫ টন আমদানি করে। এ থেকে শুল্ক গোয়েন্দা নিশ্চিত হয় ২০০৯ সালের আগেও তারা বারে মদ ব্যবহার করে। আগের এই মদ ও পরের মদের হিসাবের সপক্ষে বৈধ কোন আমদানি বা ক্রয়ের সপক্ষে কোন কাগজ দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ডক্টর মইনুল খান জনকণ্ঠকে বলেন, মদের ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্ক হার প্রযোজ্য। মদের ওপর ৬০১% ও বিয়ারের জন্য ৪৪৭% শুল্ক আরোপযোগ্য। তাছাড়া এটি একটি আমদানি নিয়ন্ত্রিত পণ্য। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার যথাযথ অনুমোদন ও মনিটরিং সাপেক্ষে ওই পণ্য আমদানিযোগ্য হয়।