ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াসার সরবরাহ চাহিদার অর্ধেকের কম

চট্টগ্রামে পানি সঙ্কট তীব্র

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৮ মার্চ ২০১৬

চট্টগ্রামে পানি সঙ্কট তীব্র

আহমেদ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চৈত্র মাস আসতে না আসতেই চট্টগ্রামে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার। আবাসিক এলাকা থেকে ছিন্নমূল বস্তি কোথাও নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ মিলছে না। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে এ সঙ্কটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানি সরবরাহে নগরবাসীকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর বিভিন্ন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি মতিঝর্ণা, পাহাড়তলী, ধনিয়ালা পাড়াসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কলসির লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে পানির সঙ্কট দেখা দিলেও দিন দিন এর মাত্রা বাড়ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্ধারিত সরবরাহের বিপরীতে দিন দিন পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ সঙ্কট তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হচ্ছে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে ওয়াসার নতুন কোন পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারায় এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। গত অক্টোবরে চলতি সরবরাহের সঙ্গে ‘কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প’র ১৪ কোটি লিটার পানি যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পটি শেষ হয়নি। প্রকল্পটি শেষ না হওয়ায় খুব সহসায় এ সঙ্কট কাটছে না। তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হচ্ছে জুন থেকে নগরবাসী তাদের চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ পাবেন। ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। আমরা সরবরাহ করতে পারছি মাত্র ২১ লিটার। জুনে কর্ণফুলী প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ১৪ কোটি লিটার বেশি পানি সরবরাহ করা যাবে। তখন সঙ্কট অনেক কমে আসবে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নগরীর জামাল খান, মোমিন রোড, আন্দরকিল্লা, দেওয়ানবাজার, জুবিলি রোড, এনায়েতবাজার, মেহেদীবাগ, ষোলশহর, শোলকবহর, মুরাদপুর, চকবাজার, বাকলিয়া, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, মাদারবাড়ী, কদমতলী, পাথরঘাটা, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং, ইপিজেড, পতেঙ্গা, আগ্রাবাদ সিডিএ, হালিশহর প্রভৃতি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এসব এলাকার বাসিন্দাকে ওয়াসা স্থাপিত বিভিন্ন ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।
×