ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিপুরার সঙ্গে এক শ’ মে.ও. বিদ্যুত ক্রয় চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৬ মার্চ ২০১৬

ত্রিপুরার সঙ্গে এক শ’ মে.ও. বিদ্যুত ক্রয় চুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ত্রিপুরার সঙ্গে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত ক্রয় চুক্তি করেছে সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুত আমদানির জন্য দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। আগামী ২৩ মার্চ ভারত-বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনা ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুত আমদানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। যদিও বলা হচ্ছে ২১ মার্চ থেকে ত্রিপুরা বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু করবে। বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, আগে থেকে সব কিছু ঠিক থাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় ক্রয় চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়। বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সচিব মাজহারুল হক ভারতের বিদ্যুত ভ্যাপার নিগমের (এনভিভিএন) পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী (সিইও) নন্দ কিশোর শর্মা। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ইউনিট বিদ্যুত আমদানিতে খরচ পড়বে ছয় টাকা ৪৩ পয়সা। ত্রিপুরা তাদের পালাটানা গ্যাসচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত সরবরাহ করবে। নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পেমেন্ট অর্থাৎ কেবলমাত্র বাংলাদেশ বিদ্যুত নিলেই মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় সংযুক্ত হবেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশের নতুন এই সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধনে ঢাকা ও দিল্লী যৌথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ২৫ মিনিটের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মঙ্গলবার বৈঠকে অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়। বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সঞ্চালন লাইনটি উদ্বোধনের কথা ছিল। তবে দাম নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় প্রথমবার প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হয়। দুই দেশের পাওয়ারগ্রিড কোম্পানি ত্রিপুরা-কুমিল্লা সঞ্চালন লাইনটি চার্জ করলেও প্রায় আড়াই মাস তা পড়ে রয়েছে। গত জানুয়ারিতে ত্রিপুরার বিদ্যুতমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় জানানো হয় ফেব্রুয়ারিতেই বিদ্যুত পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিনা মাশুলে ট্রানজিট রুট ব্যবহার করে ত্রিপুরার পালাটানায় ৭৭৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করে ভারত। বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য ওই কেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত বাংলাদেশে বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুত আমদানির জন্য কুমিল্লা থেকে ত্রিপুরা অংশে মোট ৫৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে উভয় দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ২৮ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ২৬ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন এই গ্রিড লাইনটি ত্রিপুরার সুরজমনি নগর থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লাকে সংযুক্ত করেছে। প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুত আমদানি শুরু হয়। ভারত থেকে এখন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করা হচ্ছে।
×