ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে চাঁদাবাজদের বিচার দাবিতে লাঠি মিছিল

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৪ মার্চ ২০১৬

রূপগঞ্জে চাঁদাবাজদের বিচার দাবিতে  লাঠি মিছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৩ মার্চ ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় চাঁদাবাজ মামুনবাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী বকুলনগর কলাবাগান এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিক্ষোভের মুখে পুলিশ মামুনবাহিনীর অন্যতম সদস্য রিপন ও আশরাফুল নামে দুই চাঁদাবাজকে আটক করেছে। আটকৃত রিপন জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার চরবসন্ত এলাকার রেজাউল মিয়ার ছেলে ও আশরাফুল রাজধানীর নবাবগঞ্জ থানার দড়িকান্দা এলাকার লোকমান খানের ছেলে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপসী এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মামুন ওরফে চাঁন্দা মামুনসহ সহযোগী রিপন, ছালাম, আশরাফুলসহ চাঁদাবাজ মামুনবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় বিভিন্নভাবে সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায় করে আসছে। শুধু তাই নয়, এ বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর বসানোসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে এ বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলেই হামলা ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষ এ বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের আটক করে বিভিন্নভাবে শ্লীলতাহানী করছে। কেড়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সাসহ মোবাইল সেট। খুলনার এরশাদ সিকদারের ভূমিকা পালন করছেন চাঁদাবাজ মামুনবাহিনী। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় বকুলনগর এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুজ্জামানের চারতলা ভবন দখল করে রেখেছে চান্দা মামুন। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, চাঁদা মামুনসহ এ বাহিনীর সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আটকৃত দুই চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অগ্রিম তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাসের দাবিতে একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট কাতরারচক এলাকার তানরিন এ্যাপারেলস নামে পোশাক কারখানায় এ অসন্তোষ দেখা দেয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, সাওঘাট কাতরারচক এলাকার তানরিন এ্যাপারেলস নামে পোশাক কারখানায় প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। বৃহস্পতিবার সকালে কর্তৃপক্ষ কারখানার সামনের গেটে একটি নোটিস টানিয়ে দেন। ‘নোটিসে লেখা রয়েছে, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় পোশাক কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বর্তমান কারখানায় কার্যক্রম চলবে। পরে নতুন ঠিকানা গাজীপুরে কার্যক্রম চলবে। এছাড়া নতুন ঠিকানায় যারা কাজ করতে ইচ্ছুক তারা যোগাযোগ করবেন। আর যারা কাজ করবেন না তারা অন্য কোন কারখানায় চাকরি খুঁজবেন।’
×