ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শঙ্খচিল মুক্তি পাচ্ছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শঙ্খচিল মুক্তি পাচ্ছে পহেলা বৈশাখ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হলো চলচ্চিত্র ‘শঙ্খচিল’। ছবিটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও কুসুম শিকদার। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষ। আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে চলচ্চিত্রটি দুই বাংলায় একযুগে মুক্তি পাবে প্রায় অর্ধশত প্রেক্ষাগৃহে। ছবিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দুই বাংলার শিল্পীরা। তাঁরা হলেন- মামুনুর রশীদ, প্রবীর মিত্র, অনুম রহমান খান, রোজী সিদ্দিকী, রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল, শাকিল আহমেদ, শাহেদ আলী, দীপঙ্কর দে, অরিন্দম শীল, ঊষসী চক্রবর্তী প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির মুক্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার চ্যানেল আই ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রটির নির্মাতা গৌতম ঘোষ, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, আশীর্বাদ চলচ্চিত্রের কর্ণধার হাবিবুর রহমান খান ও প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী মামুনুর রশীদ। সংবাদ সম্মেলনে ছবিটিতে অভিনয় করার অনুভূতি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী কুসুম শিকদার ও শিশুশিল্পী অনুম রহমান খান। এ ছবিতে কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান ‘খেলিছো হে বিশ্বলয়ে...’ ব্যবহার করা হয়েছে। সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা। তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অনভূতি প্রকাশ করার সময় গানটির কিছু অংশ পরিবেশন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিজে. (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে গৌতম ঘোষ বলেন, পাঁচ বছর আগে প্রসেনজিতকে নিয়ে তৈরি করেছিলাম মনের মানুষ। এর আগে পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছি। চলচ্চিত্র দুটি মুক্তি পাওয়ার পর দুই দেশ থেকেই দারুণ সাড়া পেয়েছিলাম। এবার বানিয়েছি শঙ্খচিল। প্রত্যাশা এবারও অনেক। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় তৈরি শঙ্খচিলের চিত্রায়ন হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার টাকিতে। তিনি জানান ‘শঙ্খচিল’ ১৯৪৭ সালের দেশভাগ এবং পরবর্তী সময়ে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প। চলচ্চিত্রটি কোন দেশভাগের গল্প নয়, দেশভাগের স্মৃতির গল্প। বাংলাদেশের এক স্কুল শিক্ষকের পরিবারকে কেন্দ্র আবর্তিত ছবিটির গল্পে দেশভাগ এবং দুই বাংলার মানুষের জীবনের ওপর সেই প্রভাবকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। চলচ্চিত্রটির পটভূমি, চিত্রায়ন থেকে শুরু করে প্রযোজনা পর্যন্ত সবকিছুই হয়েছে দুই বাংলা ও তার মানুষের যৌথ প্রয়াসে। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও আশীর্বাদ চলচ্চিত্র এবং ভারতের এন আইডিয়াজ থেকে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় ও মৌ রায় চৌধুরী।
×