মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ॥ নারায়ণগঞ্জে এবার স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলী (২২) ও শাশুড়ি রাশিদা বেগমকে (৬০) নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করেছে স্বামী কাউসার মিয়া শুক্রবার রাত ৮টায় সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের উত্তরপাড়া এলাকায়। পুলিশ রাত সাড়ে ১০টায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর পর ওই বাড়িতে শত শত লোক ভিড় জমায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ, ডিবি, র্যাবের সদস্যরা ছুটে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী কাউসার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে কাউসার মিয়া স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলীকে নিয়ে কাঁচপুরের উত্তরপাড়ার খাইরুল বাশারের বাড়িতে ভাড়ায় আসে। শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে কাউসার মিয়া দা দিয়ে জবাই করে প্রথমে স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলী পরে শারমিন আক্তারের মা রাশিদা বেগমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এর পর কাউসার বাসার বাইরে গিয়ে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দা হাতে নিয়ে উন্মাদের মতো প্রলাপ বকতে থাকে। এ অবস্থায় ওই বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা কাউসারকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনার পর বাড়ির লোকজন হত্যাকা-ের ঘরটিও তালাবদ্ধ করে রাখে।
হত্যাকা-ের পর কাউসার বাড়ির লোকজনকে জানান, তার স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িত। তার মা রাশিদা বেগমও তাকে অত্যাচার করত। এ কারণে সে তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে। ঐ বাড়ির কেয়ারটেকার আলী হোসেন জানায়, ওই বাড়ির মালিক খাইরুল বাশার বিদেশে থাকেন। তিনিই বাড়ির দেখাশোনা করেন। বিসিক শিল্প এলাকার মারকুলী গার্মেন্টসের শ্রমিক কাউসার মিয়া। গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে এক যুবকের পরকিয়ার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দেয়। নিহত স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলীও একই গার্মেন্টসে কাজ করত। নিহত শারমিন আক্তার লাভলীর পিতার নাম চাঁন মিয়া। নিহত শারমিনের বাবার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বাদুরতলা গ্রামে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: