ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

অবসর গ্রহণের পর বিচারপতিদের রায় লেখা সংবিধানের পরিপন্থি ॥ প্রধান বিচারপতি সিনহা

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

অবসর গ্রহণের পর বিচারপতিদের রায় লেখা সংবিধানের পরিপন্থি ॥ প্রধান বিচারপতি সিনহা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবসর গ্রহণের পর বিচারপতিদের রায় লেখা আইন ও সংবিধান পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। একইসঙ্গে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ বেআইনী কাজ থেকে বিরত থাকতে সকল বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোন কোন বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিগণ দায়িত্ব গ্রহণকালে বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ গ্রহণ করেন। কোন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তার গৃহীত শপথও বহাল থাকে না। আদালতের নথি সরকারী দলিল (পাবলিক ডকুমেন্ট)। একজন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আদালতের নথি নিজের নিকট সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে দস্তখত করার অধিকার হারান। আশাকরি বিচারকগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন বেআইনী কাজ থেকে বিরত থাকবেন। তিনি বলেন, এখন মনিটরিংয়ের ফলে বিচার কাজে ব্যয়িত কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে মামলা নিষ্পত্তির হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। বাণীতে এস কে সিনহা বলেন, মামলাজট নিরসনে অবকাশকালীন ছুটি কমানো ও যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায় লেখার বিষয়ে সকল বিচারপতিকে নিয়ে চেষ্টা সত্ত্বেও রাজি করতে না পারা তারই ব্যর্থতা। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আইনজীবীদের অনুপস্থিতির কারণে মামলা বিনা তদ্বিরে খারিজ হয়ে যায়। এর ফলে বিচারপ্রার্থী জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে তিনি আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
×