ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সংক্রান্ত রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সংক্রান্ত রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চ আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বলে জানান আইনজীবী মো.সাইফুল ইসলাম। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন মো.সাইফুল আলম। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট বিদ্যুতের দাম গড়ে ২.৯৩ এবং গ্যাসের দাম ২৬.২৯ শতাংশ বৃদ্ধি করে বিইআরসি। ১০ সেপ্টেম্বর বিইআরসি বরাবরে দেওয়া এক চিঠিতে এ দাম প্রত্যাহারের দাবিতে আল্টিমেটাম দেয় ক্যাব। এতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ভোক্তাদের এই সংগঠনটি। বর্ধিত এ দাম ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়। কিন্তু বিদ্যুতের এই দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক ও বে-আইনি দাবি করে গত বুধবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ক্যাবের ওই আলটিমেটাম আমলে না নেওয়ায় রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটের ফলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য আইনগতভাবে টিকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছে ক্যাব। গত ২১ জানুয়ারি থেকে চার দিনব্যাপী বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির উপর গণশুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। এতে বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রস্তাবিত পাইকারি দাম ১৮.১২ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিবেচনায় ১৭ থেকে ২৫.৮৯ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছিলো। দু’টি বিতরণ সংস্থার সামান্য বৃদ্ধির সুপারিশ থাকলেও অন্যদের প্রস্তাব নাকচ করে দেয় বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। পাইকারি দাম বাড়লে (প্রস্তাবিত ৫.১৬ শতাংশ) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ৭.৮৩ শতাংশ এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ২.২৮ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে বিইআরসি। অন্যান্য কোম্পানির দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই বলে মত দেয় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
×