স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের দিন সকাল থেকেই বৃষ্টিপাত হলেও কমতি ছিল না ঈদের আনন্দের। ঈদের আগ থেকেই সারাদেশের ওপর দিয়ে অঝোরধারায় শুরু হয় বৃষ্টিপাত। কিন্তু বৃষ্টিপাত ঈদের আনন্দ, ঘরে ফেরার আনন্দ কোনটাই ম্লান করতে পারেনি। ছাতা মাথায় নিয়ে যেমন সবাইকে ঈদগাহে যেতে দেখা গেছে। তেমনি নামাজ শেষে বৃষ্টির মধ্যে ভিজেই একে অপরকে কোলাকুলিতে অংশ নিতেও দেখা গেছে। এবার বৃষ্টিতে ভিজেই যেন ঈদ আনন্দে শরিক হয়েছে সবাই।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় ঈদের দিনসহ গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির অবিরাম ধারা বয়ে যাচ্ছে। ঈদের দিন সকাল থেকেই প্রায় সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি ছিল। শনিবার সকাল সবারই একই লক্ষ্য সময় মতো ঈদগাহে পৌঁছে ঈদের নামাজে শরিক হওয়ায়। কিন্তু বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও বাধা সৃষ্টি করে ঈদের জামাতে সময়মতো অংশ নেয়ায়। কিন্তু বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ দলে দলে ছুটেছে ঈদগাহের ময়দানে। যেখানে বৃষ্টির কারণে ঈদগাহে নামাজ পড়া সম্ভব হয়নি সেসব জায়গায় মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা।
বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টায় শুরু হয় ঈদ জামাত। সেখানে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি এ্যাড. আবদুল হামিদ, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন। প্রতিবারের মতো এবারও সকাল ১০টায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের আসার সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে ঈদের দিন সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: