ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পর্যটকদের পদচারণাহীন জাফলং ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্র

মোঃ এমদাদ হোসেন ভুঁইয়া, সিলেট 

প্রকাশিত: ২১:০৩, ৯ জুন ২০২৫

পর্যটকদের পদচারণাহীন জাফলং ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্র

ছবিঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

ঈদের ছুটিতে সিলেটের জাফলং পর্যটন এলাকায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এবার এর চিত্র একটু ব্যতিক্রম। বন্যার প্রভাবে পর্যটকদের খরা দেখা দিয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিনে জাফলং ও আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রত্যাশার চেয়ে কম দর্শনার্থী ছিল।

 

অন্যান্য বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমনপিপাসুদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যটকদের ঢল দেখা গেলেও এবার তাও দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে এবার পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র হতাশা দেখা দিয়েছে।

 

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকেরা ঈদের ছুটিতে জাফলং, বিছনাকান্দি ও পানতুমাইসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসেন। কিন্তু পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্যাকবলিত না থাকা সত্ত্বেও পর্যটক কম। অবশ্য সিলেটে বন্যার খবরটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

 

জাফলংয়ের হোটেল-রিসোর্টগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিসোর্টগুলোতে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যটক বুকিং দিয়েছেন। হাতেগোনা কিছু রিসোর্টে অবশ্য বুকিং রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। অথচ অন্যান্য সময়ে এসব হোটেল-রিসোর্টে কক্ষ পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়ে।

 

জাফলং হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু বলেন, বছরের এ সময়টায় পর্যটকের চাপ সামলানোই কঠিন হয়; অথচ এবার হোটেল ও রিসোর্টের অনেক কক্ষ এখনও ফাঁকা।

 

ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং জোনের ইনচার্জ মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, "বন্যার কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।"

পৃথী

×