ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

লন্ডনে পিএসভিআই কনফারেন্সে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা 

নারী শান্তিরক্ষীরা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ২৯ নভেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৯:০১, ২৯ নভেম্বর ২০২২

নারী শান্তিরক্ষীরা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে

পিএসভিআই কনফারেন্সে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে  সর্বোচ্চ সেনা প্রদাকারী দেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২ হাজার ৩শ ৯৭ জন নারী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে এবং বর্তমানে ৫শ ৭৯ জন নারী বিভিন্ন মিশনে নিয়োজিত আছে। এর বাইরেও দক্ষিণ সুদান ও  সোমালিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের চারজন নারী বিচারক সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

লন্ডনে কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুদিন ব্যাপী ‘প্রিভেন্টিং সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট ইনিশিয়েটিভ কনফারেন্স (পিএসভিআই) ২০২২’ এ বেস্ট প্র্যাকটিস ইন ডিফেন্স অন প্রিভেন্টিং এন্ড রেসপন্ডিং টু কনফ্লিক্ট রিলেটেড সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স’ সেশনে এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায় ওই সেশনে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’ বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে জোরালোভাবে সমর্থন করেন। বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এবং নারী শান্তিরক্ষীরা ২০০০ সাল থেকে মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে।

তিনি বলেন, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সংঘাতপূর্ণ ও অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করে নারীর ক্ষমতায়ন এবং জেন্ডার সমতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে আইভরিকোস্টে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম দেশ হিসেবে নারী সামরিক কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোতায়েন করে। নারী শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন জেন্ডার ভায়োলেন্স রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, নারীর সুরক্ষা, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন পরিচালনাসহ আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের আর্মড ফোর্সেস মন্ত্রী জেমস হিয়াপীর সভাপতিত্বে এ সেশনে আলোচক ছিলেন ন্যাটোর মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ইরেন ফেলেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেজর চারমেইনে গেলডেনহুয়েজ, জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি সেক্টর গভর্নেন্সের ড. মেগান বাসটিক এবং বিপিএসটি’র জেন্ডার এ্যাডভাইজার ড সেল্লাহ কিং ওরো। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল। 

এ কনফারেন্সে বিশ্বের ৭০টির বেশী দেশের প্রতিনিধি, শান্তিরক্ষা মিশনের প্রতিনিধি ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে।
 

স্বপ্না

সম্পর্কিত বিষয়:

×