ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাজিতাদের গল্প

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১১ আগস্ট ২০১৭

অপরাজিতাদের গল্প

সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং এগিয়ে থাকতে আমাদের সবচেয়ে বড় নির্ভরশীলতার জায়গাটি এখন সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম। এই ক্ষেত্রটাই বর্তমানে হয়ে উঠেছে দেশের তরুণ উদ্দোক্তাদের স্বাবলম্বী হবার উৎস। আজকের অপরাজিতা পাতায় জানব তিন নারী অপরাজিতার কথা যারা স্ব-উদ্যোগে নিজেদের ব্যবসায় দাঁড় করিয়েছেন অনলাইনে, ব্যবসায়ে পাচ্ছেন সফলতা। জানাচ্ছেন বেনজির আবরার জান্নাত নিশি সময়টা ২০১৩ সালে কিছুটা প্রয়োজন এবং শখের বশেই শুরু করি কারুকাব্য, তখন অনলাইন বিজনেস এতটা জনপ্রিয় ছিল না। যার কারণে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিল, শুরুতে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল আস্থার অভাব। ভালই যাচ্ছিল কিন্তু আরও কিছু করতে হবে আরও বাড়াতে হবে এ তাগিদটাও ছিল মনের মধ্যে তীব্র। আমার পেইজের বিজনেসের প্রমোশনের একটা বড় গল্প আছে, যেটি মজার। ২০১৫ জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল পেইজটির, দেশের একজন জনপ্রিয় সেলেব্রেটি আপু পার্সেল নিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পজিটিভ রিভিউতে আর ফিরে তাকাইনি। একদিনে ২০টা অর্ডার আসে। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই কাস্টমার সেবা আরও সহজতর করার জন্য বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনগুলোকে (ডেলিভারি, পেমেন্ট নিশ্চয়তা) কারুকাব্যের সঙ্গে একত্রিত করতে থাকি। যার ফলশ্রুতিতে কারুকাব্য আজ একটি সফল ও আস্থার নাম হিসেবে ক্রেতাদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। খুব একটা বাধার মুখেও পড়তে হয়নি কখনও। মোহনা গোলাপী আমার পড়াশোনা পুরোটাই বস্ত্রশিল্প বিষয়ে, ইচ্ছা ছিল নিজে কিছু করার। পড়াশোনার পাশাপাশি আমি সব সময় চিন্তা করতাম নিজেকে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করব। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় ফেসবুক চালাতে চালাতে মাথাই চিন্তা আসল অনলাইনে একটা পেইজ খুলার। তখন ব্যবসায়ে পুঁজি হিসেবে নিজের জমানো মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু নিজের ডিজাইনের ৩টা শাড়ি আর ৪ ড্রেস নিয়ে আমার মোহনাস ক্রিয়েশনের যাত্রা। প্রথম থেকেই শিরভাগই প্রবাসী ক্রেতা। বর্তমানে খুব ভাল সাড়া পাই সব শ্রেণী থেকেই,আমার এই চলার পথে সবকিছুতেই মা-বাবা ও স্বামীর অবদান পুরোটাই। আল্লাহ রহমতে গর্বের বিষয়, এখন আমার একটা আলাদা পরিচয় আছে। শায়লা আরেফীন তানিশামস ক্রিয়েশনস আমার কাছে নিজের সন্তানের মতো। ছোট থেকেই আমি আমার জামাগুলো নিজে ডিজাইন করে পরতাম। এই শখটাকে হঠাৎ বাস্তবে রূপান্তরিত করার আশায় ২০১৫ তে আমার বিজনেসের শুরু। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গ্রাহকদের কাছে সবচয়ে সেরা জামাটি পৌঁছে দিতে কাজ করার শুরুটা, বর্তমানে খুব ভাল মানের বিক্রি হয় এবং আমার ব্যবসায় লাভে আছে। অনেক রকম প্রতিকূলতা পার করতে মা ও শ্বশুর বাড়ির সহায়তা পেয়েছি। আমার জীবনসঙ্গী মনে করেন,আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সফল হব। আমিও তেমনি স্বপ্ন দেখি অনেক বড় হবে আমার স্বপ্নের তানিশামস ক্রিয়েশনস।
×