
ছবি: সংগৃহীত
ডিভোর্স (তালাক) দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব কাবিননামার মামলা করা উচিত, তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। সাধারণত, তালাকের নোটিশ পাঠানোর পর ৯০ দিনের মধ্যে সালিস করার সুযোগ থাকে এবং এরপর মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন অনুযায়ী, তালাকের ৯০ দিনের মধ্যে তা নিবন্ধিত করতে হয়। দেনমোহর বা অন্যান্য পাওনা আদায়ের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের রায় বা ডিক্রির কপি পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব পারিবারিক আদালতে মামলা করা যেতে পারে।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
- মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী, স্বামী বা স্ত্রী যেই তালাক দিক না কেন, তালাকের পর ৯০ দিনের মধ্যে তা স্থানীয় কাজী অফিসে (নিকাহ রেজিস্ট্রার) গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
- যদি স্বামী বা স্ত্রী তালাক দেন, তাহলে তালাকের নোটিশ পাঠানোর পর ৯০ দিনের মধ্যে সালিসি পরিষদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।
- যদি মীমাংসা না হয়, তাহলে তালাক কার্যকর ধরা হয় এবং ৯০ দিনের মধ্যে তা নিবন্ধন করতে হয়।
- দেনমোহর বা অন্যান্য পাওনা আদায়ের জন্য, তালাকের রায় বা ডিক্রির কপি পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব পারিবারিক আদালতে মামলা করা উচিত। এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তবে যত দেরি হবে, মামলা পরিচালনা করা তত কঠিন হতে পারে।
- কাবিননামার ১৮ নম্বর কলামে যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেওয়া না থাকে, তাহলে স্ত্রীকে তালাকের জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে, পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ অনুযায়ী, আদালতের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ চাইতে হবে।
- যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সম্মতিতে তালাক চান, সেক্ষেত্রেও আদালতের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ করানো যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- তালাকের পর দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিলে দেনমোহর বা অন্যান্য পাওনা আদায়ে সুবিধা হয়।
- তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম আইন ও পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫-এর নিয়মকানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
- একজন আইনজীবীর পরামর্শ নিলে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে
সাব্বির