
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। ড্রোন ও মিসাইল হামলায় দখলদার ইসরাইলের অভ্যন্তরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু স্থলেই নয়, বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক নৌপথ লোহিত সাগরেও ইসরাইলগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিচ্ছে তারা।
হুথি যোদ্ধাদের আক্রমণে ইসরাইলের একমাত্র সমুদ্রবন্দর ইলাতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, যা দেশটির জন্য বড় অর্থনৈতিক ধাক্কা। এই বন্দর দিয়েই এতদিন সহজে পণ্য আনা-নেওয়া করতো ইসরাইল।
সাম্প্রতিক হামলায় হুথিরা ইসরাইলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছে—তেল আবিবের বেনগুরিয়ন বিমানবন্দর, বীরসেবা ও আশকালনের দুটি স্থাপনা। হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারী জানান, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা ও অবরোধের জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। যুদ্ধ ও অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
অর্থনীতিতে আঘাত হানতে হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইলি বন্দরগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করা বিদেশি সংস্থাগুলোকে সতর্ক করে সারী বলেন, ইসরাইলে যাওয়া যেকোনো জাহাজই হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে।
সতর্কবার্তার পরও হামলা থামেনি। গত ৬ জুলাই "ম্যাজিক সিস্টেম" এর একটি কার্গো জাহাজ ড্রোন রকেট হামলায় ডুবিয়ে দেয় হুথিরা। কয়েকদিন পর "ইটারনিটি সি" নামে লিবিয়ার পতাকাবাহী আরেকটি জাহাজ একই পরিণতির শিকার হয়। এই হামলায় কয়েকজন নাবিক নিহত হন এবং বেঁচে থাকা নাবিকদের অপহরণ করে ইয়েমেনে নিয়ে যাওয়া হয়।
হুথিদের ধারাবাহিক হামলায় ইসরাইলের নিরাপত্তা ও অর্থনীতি দুটোই এখন মারাত্মক চাপে রয়েছে।
শেখ ফরিদ