ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস, এর দাবির বিরোধিতা করে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল ইসমাইল কানি জনসমক্ষে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি জীবিত ও সুস্থ রয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) তেহরানে আয়োজিত এক সরকারপন্থি জনসমাবেশে তাকে হাসিমুখে সাধারণ জনতার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এ দৃশ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় ও মিত্র সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে হুতিদের আল-মাসিরাহ টিভি ও অন্যান্য শিয়া মঞ্চগুলো, তাকে ঘিরে ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছে। এতে কানি একজন সক্রিয় সেনা নেতার ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছে, নিউইয়র্ক টাইমসের খবরটি ছিল তথ্যভিত্তিক বিভ্রান্তি।
এর আগে নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছিল, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইসমাইল কানি হয়তো নিহত হয়েছেন। তবে এই বিষয়ে ইসরায়েল কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। এমনকি টাইমস অব ইসরায়েল–ও নিজেদের প্রতিবেদনে এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইসমাইল কানির মৃত্যুর গুজব নতুন নয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে লেবাননের বৈরুতে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর সাবেক শীর্ষ নেতা হাসিম সাইফুদ্দিন নিহত হন। সেই সময়ও কানি হামলায় উপস্থিত ছিলেন এবং হতাহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। যদিও পরে সেটিও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় তৎকালীন কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর ইসমাইল কানি বাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এলিট এই বাহিনী মূলত ইরানের বাইরের অঞ্চলে বিভিন্ন কৌশলগত ও সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। কুদস ফোর্সের মাধ্যমে ইরান হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহায়তা দিয়ে আসছে।ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক সংঘাতের মধ্যেই ইসমাইল কানির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে মঙ্গলবার তেহরানে তার সরাসরি উপস্থিতি ও প্রচারিত দৃশ্য এই বিভ্রান্তিকর খবরে চূড়ান্ত বিরতি টেনেছে।
ছামিয়া
