ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার প্রাণঘাতী সংঘাত মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পা রাখে, যেখানে উভয় পক্ষই তাদের হামলা আরও বিস্তৃত করেছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন—তাদের মধ্যে তেহরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। ইরান থেকে চালানো হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সিগন্যাল পেয়েছে।
G7 সম্মেলন চলাকালে কানাডা থেকে হঠাৎ রওনা হওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বার্তায় ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তেহরানের প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষকে সতর্ক করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন শুক্রবার ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা। এই হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয় তীব্র গোলাগুলি, তখনই তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাও চলছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি মনে করি আমরা তাদের অনেক, অনেক দূরে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
ইসরায়েলে হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (Revolutionary Guard Corps) বুধবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে এই দুই চিরবৈরীর সংঘর্ষ ছয়দিনে গড়িয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, “ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে গৌরবময় ‘অপারেশন অনেস্ট প্রমিস ৩’-এর ১১তম তরঙ্গ পরিচালিত হয়েছে।” তারা দাবি করে, ইরানি বাহিনী “দখলদার ভূখণ্ডের আকাশসীমায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।”
মুমু
