ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘর্ষে মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরান থেকে চালানো দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তামরার একই পরিবারের চারজন নারী ও বাত ইয়ামের ১০ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ৮ বছরের একটি কন্যাশিশুও রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইতিমধ্যে চালানো হামলাগুলো "শুধু শুরু"—এর চেয়েও বড় ধ্বংস অপেক্ষা করছে ইরানের জন্য। তিনি জানান, এই সামরিক অভিযান দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং কেবল কয়েক দিনের নয়, বরং কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার হতে পারে।
তবে অনেক বিশ্লেষকের মতে, ইসরায়েলের প্রকৃত লক্ষ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সরকার বলছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, আর সেটি প্রতিহত করতেই হামলা চালানো হচ্ছে। তবে ইরান বারবার বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
নেতানিয়াহুর বিরোধীরা এটিকে “ইচ্ছাকৃত যুদ্ধ” হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। তাদের মতে, এখনো কূটনীতির পথ খোলা রয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আহ্বান জানিয়েছেন, ইরান যেন একটি নতুন চুক্তি মেনে নেয়। যদিও তিনি নিজেই ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত JCPOA পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, আজ নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনাও বাতিল করা হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, "ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা" চলাকালে কোনো আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।
মুমু ২
