
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের মিসাইল হামলায় ইসরায়েলের একটি আবাসিক ভবন ধসে পড়ায় নিখোঁজ হয়ে গেছেন অন্তত ৩৫ জন নাগরিক। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অফ ইসরায়েল’ এই তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, তেলআভিভের কাছাকাছি বাত ইয়াম শহরের একটি ভবনে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল আঘাত হানে। এতে ভবনটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে আছেন অন্তত ৩৫ জন মানুষ। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা, তাদের অধিকাংশই হয়তো আর জীবিত নেই।
স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ভবনটি যেকোনো সময় সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়তে পারে। তাই দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
এই হামলার পর বাত ইয়াম শহরের চেনা চেহারা একেবারে বদলে গেছে। শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ইরান শুধু বাত ইয়াম নয়, তেলআভিভ লক্ষ্য করেও কয়েকটি মিসাইল ছুড়েছে। এতে আরও অন্তত ৭ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। শুধু বাত ইয়াম শহরেই আহত হয়েছেন ৭৪ জন, যার মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে রেহোভত শহরে আহত হয়েছেন ২৮ জন।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা এমডিএ জানিয়েছে, শনিবার রাতভর ইরানের মিসাইল হামলায় প্রায় ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন।
হামলার আরেকটি বড় ক্ষতি হয়েছে ইসরাইলের অস্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স’-এ। একটি ভবনে আগুন ধরে যায়, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার ছিল। অনেক বিজ্ঞানী ও কর্মী ভেতরে আটকা পড়ে যান।
এই হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এতদিন নিরাপত্তার আশ্রয়ে জীবন কাটানো মানুষগুলো এখন নিজের দেশেই নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের ওপর নেতানিয়াহুর আগ্রাসী নীতির ফলেই এবার ইসরায়েলিরাই শিকার হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি এখন অনেকটা উল্টে গেছে— নির্যাতনের বাইরে থেকে এবার নিজেরাই ভিকটিমে পরিণত হচ্ছেন।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/ZUORgd76Pck?si=UjUrZchmfPLUYduT
এম.কে.