
ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার আগুন জ্বালিয়ে দিলো ইরান-ইসরায়েলের সংঘর্ষ। তেহরানের চালানো অপারেশন রাইজিং লায়ন–এর আওতায় ছোড়া দেড়শোরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে বিপর্যস্ত ইসরায়েল। রাজধানী তেল আবিব যেন একরাতেই রূপ নেয় ধ্বংসস্তূপে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তেল আবিব, জেরুজালেম সহ কয়েকটি শহরের। এখন পর্যন্ত এক ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। আহত আরো ৪০ জন। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে।
এর আগে ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। এতে প্রাণ যায় ৭৮ জনের। মূলত এই হামলার প্রতিশোধ নিতেই অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করেন তেহরান।
হামলা, পালটা হামলা একবার দুবার নয় রাতভর। স্মরনকালের ইতিহাসে এক নজির দেখলো ইরান-ইজরায়েল। শুরুটা করেছিলো জায়নবাদীরা। শুক্রবার ইরানের পারমানবিক অস্ত্র ঠেকানোর নাম করে দেশটিতে একেরপর এক হামলা চালায় ইজরায়েল। যার শক্ত জবারের হুশিয়ারি দেন তেহরান। মধ্যরাতেই সে প্রতিশ্রুতির কঠোর বাস্তবায়ন দেখলো তেল আবিব।
শুরু হলো অপারেশন রাইজিং লায়ন। ইরান থেকে ঘুরে আসা শত শত ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে ইজরায়েলের রাজধানীতে। ভেঙ্গে পড়ে কিছু ভবন। হতাহতের চিৎকারে ভারি হয়ে আসে দখলদার দেশটির আকাশ। আকস্মিক হামলার তীব্রতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ে IDF আর নেতৃত্বে যার থাকার কথা সবার সামনে তিনিই দিলেন গা ঢাকা। হামলার পর মুহূর্তেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান নেতানিয়াহু।
ভোরের আগে ফের ইরানের হামলা হয়। এবারে শুধু তেলাবিব নয় লণ্ডভণ্ড হয় জেরুজালেম সহ কয়েকটি বড় শহর। সাইরেনের শব্দে কেপে ওঠে বেশ কিছু এলাকা।
এই হামলা পালটা হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে দু'পক্ষই।
নোভা