
ছবিঃ সংগৃহীত
সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভারত আবারও এক সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের মণিপুর রাজ্যে চলমান বিক্ষোভের জেরে জারি করা হয়েছে কারফিউ, বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দেশটিতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৬৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
সংক্রমণের দিক থেকে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ‘নিউজ এন বাংলা’ জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, গলা বসে যাওয়া, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের একটি নতুন ওমিক্রন ধরণ সংক্রমণ ছড়ানোর গতি বাড়িয়ে তুলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও নৌবন্দরে স্ক্রিনিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বিশেষত বেনাপোল চেকপোস্টে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের করোনা উপসর্গ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এর আগে, ৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে সার্বিক সতর্কতা জারি করা হয়। আদেশে ভারতসহ বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও হেলথ ডেস্কের কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, ভারতে জেনেটিক সিকোয়েন্স বিশ্লেষণে করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে যাতে এই ধরনটি না ছড়ায়, সেজন্য প্রতিটি ভারতফেরত যাত্রীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এ সময়ে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
ইমরান