ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য

বাইডেনের রকিসতা

প্রকাশিত: ২১:০৯, ১৮ মার্চ ২০২৪

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

আসন্ন মার্কিন নির্বাচনকে সমানে রেখে কথার লড়াই জমে উঠেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে অন্যকে আক্রমণ করে নির্বাচনী মাঠ গরম করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের ‘মানসিক সুস্থতা’ প্রশ্ন তুলেছেন বাইডেন। চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেও দেখা মিলবে বাইডেন ও ট্রাম্পের দ্বৈরথ।

নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ‘উত্তেজনার পারদ’ও যেন বাড়ছে। জো বাইডেন রবিবার গ্রিডিরন ক্লাব ডিনারে বক্তৃতার সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে রসিকতা করেন। মূলত গ্রিডিরন ক্লাব ডিনার হচ্ছে ওয়াশিংটনের একটি ঐতিহ্য যা ১৮৮০-এর দশকে শুরু হয়। 
খবর আলজাজিরা ও বিবিসি অনলাইনের। ওই ডিনারে আয়ারল্যান্ডের তাওইসাচ লিও ভারাদকার, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোস এবং টিকটকের সিইও শও জি চিউ-সহ ৬৫০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘একজন প্রার্থী অনেক বয়স্ক এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য মানসিকভাবে অযোগ্য। অন্য একজন আমি। ৮১ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, ‘তাকে বলবেন না, তিনি মনে করেন যে, তিনি বারাক ওবামার বিরুদ্ধে লড়ছেন।

তিন্তু তা নয়। ট্রাম্প তো লড়ছেন আমার বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের প্রচার শিবির অবশ্য বাইডেনের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেয়নি। যদিও ৭৭ বছর বয়সী রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মানসিক ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এ ছাড়া বাইডেনের স্মৃতি অস্পষ্ট এবং তিনি বিভ্রান্ত বলে যে সমালোচনা রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক এই নেতা সেসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এবারই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ঐতিহ্যবাহী নৈশভোজে অংশ নিলেন বাইডেন। এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন ২০২৪ সালের নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে এবং চার বছর আগের নির্বাচনের মতো এবারও বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে। এই নৈশভোজের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট গণমাধ্যমের গুরুত্বকেও বেশ জোরদারভাবে সামনে আনেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম ‘জনগণের শত্রু’ নয়।

তার এই বক্তব্য সংবাদ মিডিয়া সম্পর্কে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী মন্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি নৈশভোজে অংশ নেওয়া এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কালাসের সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কেও কথা বলেন। 
বাইডেন বলেন, ‘আমরা মাথা নত করব না, তারা (ইউক্রেনীয়রা) মাথা নত করবে না এবং আমিও মাথা নত করব না। বক্তৃতা শেষ করার পর বাইডেন মেঝেতে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে সেলফি তোলেন এবং একজন অতিথির মাকে ডাকেন। অনুষ্ঠানে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্বকারী মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধিত্বকারী ইউটাহ গভর্নর স্পেন্সার কক্সও বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে ৪৮ বছর বয়সী কক্স রসিকতা করে বলেন, তিনি ‘২০৫২ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তার প্রার্থিতা ঘোষণা করছেন, সে সময়ও আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উভয়ের চেয়ে ছোট হব’। এর আগে জো বাইডেন এবং ট্রাম্প উভয়ই নিজ নিজ দল থেকে প্রার্থিতা নিশ্চিত করেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে ৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একই প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই পুনর্মঞ্চস্থ হতে চলেছে।

×