ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পিয়ংইয়ংকে তাৎক্ষণিক জবাব

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বোমারু বিমানের অবতরণ

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

 দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বোমারু বিমানের অবতরণ

দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে বুধবার শক্তি প্রদর্শনস্বরূপ দুটি মার্কিন সুপারসনিক বোমারু বিমান উড়েছে এবং এর একটি দেশটিতে অবতরণ করেছে। এই অঞ্চলে শক্তিশালী মার্কিন সামরিক অবস্থানের কথা পিয়ংইয়ংকে জানান দেয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। উত্তর কোরিয়া নতুন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করার একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, সিউলের ৬৪ কিলোমিটার দক্ষিণে ইয়োংতায়েকে মার্কিন ওসান বিমানঘাঁটির ওপর দিয়ে দুটি সুপারসনিক বি-ওয়ান বি ল্যান্সার উড়ছে। এর মধ্যে একটি গুয়ামের এ্যান্ডারসান এয়ারফোর্স ঘাঁটির দিকে ফিরে যায়। অন্যটি ওসান বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। খবর ইয়াহুনিউজের। মার্কিন বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল থমাস ডব্লিউ বার্র্জাসন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বন্ধন খুবই দৃঢ় এবং উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী আচরণে এই বন্ধন দুর্বল হবে না। জোট দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে এবং আমরা কোরীয় উপদ্বীপের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত।’ উত্তর কোরিয়ার পঞ্চম পরমাণু পরীক্ষার কয়েক দিন পর গত সপ্তাহেও দুটি মার্কিন বোমারু বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে ওড়ে। কিন্তু সেগুলো দ্রুত গুয়ামে ফিরে যায়। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জোরদার কর্মসূচীর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান বি-ওয়ান ল্যান্সার কত দিন ওসানে অবস্থান করবে তা স্পষ্ট নয়। এটি মার্কিন বিমানবাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওজনের পরিমাণ গাইডেড ও আনগাইডেড মিসাইল বহনে সক্ষম যান। সোমালিয়ায় ৫০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে সোমালিয়ায় খরা এবং সংঘাতের মধ্যে খাদ্য ঘাটতির কারণে ৫০ লাখ মানুষ মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মুখে। ১০ সোমালির মধ্যে চারজনের বেশি ঠিকমতো খেতে পারছে না। এই অবস্থার শিকার দেশটির মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪০ ভাগ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর আলজাজিরার। ফেব্রুয়ারির পর খাদ্যের অভাবে থাকা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে তিন লাখ থেকে ৫০ লাখ দাঁড়িয়েছে। সশস্ত্র সংগঠন আল-শাবাব এবং সরকার সমর্থিত সোমালিয়ার আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতি যখন খুবই ভয়াবহ তখন আমরা বহুমুখী সমস্যা মোকাবেলা করছি। এর মধ্যে রয়েছে খরা, বন্যার ঝুঁকি, সংঘর্ষ এবং ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোয় বাধা। এছাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে ফিরে আসা শরণার্থীদের সংখ্যাও। বিশ্বের বৃহৎ শরণার্থী শিবির দাদাব থেকে এ বছর সোমালিয়ায় ফিরে এসেছে হাজার হাজার শরণার্থী। নবেম্বরের মধ্যে এটি বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কেনিয়া সরকার।
×