
ভারতের ট্রেন
ট্রেনে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেল পরিষেবায় যাদের ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তারা হলেন চালক বা লোকো পাইলট। কিন্তু এই লোকো পাইলটদের একটি সংগ্রামের কথা জানলে আপনিও অবাক হবেন।
লোকো পাইলটদের সেই সংগ্রাম হলো শৌচকর্ম। ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে সফর করার সময় প্রকৃতির ডাক পেলে তারা ট্রেনের মধ্যে থাকা শৌচাগার ব্যবহার করে থাকেন। ট্রেনের প্রতিটি কামরাতেই শৌচাগার রাখা হয় যাত্রীদের সুবিধার জন্য। কিন্তু জানলে অবাক হবেন ট্রেনের প্রতিটি কামরাতে শৌচাগার থাকলেও ট্রেনের ইঞ্জিন অর্থাৎ যেখানে লোকো পাইলটরা থাকেন সেখানে কিন্তু কোন শৌচাগার নেই।
আরও পড়ুন : আরব আমিরাতে মন্দির উদ্বোধন করলেন মোদি
ইঞ্জিনে শৌচাগার না থাকার কারণে লোকো পাইলটদের শৌচকর্ম করার ক্ষেত্রে বড় সংগ্রাম করতে হয়। ট্রেনের ইঞ্জিনের শৌচাগার না থাকার বিষয়টি জানার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মনেও প্রশ্ন জাগবে, তাহলে চালক অর্থাৎ লোকো পাইলটরা কোথায় শৌচকর্ম করেন? এই বিষয়ে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লোকো পাইলট তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই লোকো পাইলট জানিয়েছেন, ট্রেন ছাড়ার আগেই লোকো পাইলটরা শৌচকর্ম সেরে ফেলেন, যাতে করে অন্ততপক্ষে দু-তিন ঘন্টা শৌচাগার যেতে না হয়। এবার মাঝপথে যাওয়ার ক্ষেত্রে যখন ট্রেন কোন স্টেশনে দীর্ঘ সময়ের জন্য দাঁড়ায় তখন তারা শৌচকর্ম সেরে ফেলেন। তবে ট্রেন চলার সময় কোনভাবেই শৌচাগার ব্যবহার করা যায় না, বিশেষ করে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে।
অন্যদিকে জরুরি ক্ষেত্রে যদি শৌচাগারে যেতেও হয় তাহলে তাদের একটি বিশেষ পদ্ধতি মেনে তারপর যেতে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় এবং সেখান থেকে অনুমতি পাওয়ার পর পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন লোকো পাইলটরা। এক্ষেত্রে ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহার করে থাকেন তারা অথবা ট্রেনের মধ্যে অন্য কামরায় থাকা শৌচাগারও অনেক সময় ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি খুব একটা সময় হয় না।
এস