ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

নিপুণের পরাজয় ॥ নতুন কমিটির যাত্রা

এন আই বুলবুল

প্রকাশিত: ০০:৩২, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিপুণের পরাজয় ॥ নতুন কমিটির যাত্রা

মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল

গত ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। মঙ্গলবার ছিল নতুন কমিটির শপথ গ্রহণের দিন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ নেয় নির্বাচিত কমিটি। কিন্তু শপথের পরপরই কমিটির কয়েকজন সদস্য বিতর্কিত কর্মকা- ঘটান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এফডিসি প্রাঙ্গণ।

এ সময় শিল্পী সমিতির সদস্য ও সাংবাদিক ইউটিউবারদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শুধু হাতাহাতিই নয়, চেয়ার ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে  ১০ সাংবাদিক। এ সময়, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্বিত-া হয়। এরপর সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় নেতৃত্ব দেন শিবা শানু, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো। তবে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এমনকি যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি।

এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সুনিপুণভাবে পরাজিত হলেন অভিনেত্রী নিপুণ। মাত্র ১৬ ভোটে তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তবে নির্বাচনে নিপুণের পরাজয়ের পর থেকে ওঠেছে নানা প্রশ্ন ও নানা গুঞ্জন। কেন বা কি কারণে হারলেন নিপুণ এটাই সবার মধ্যে আলোচনার বিষয় এখন। কেউ কেউ নিপুণের হারকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির জন্য ইতিবাচকভাবেও দেখছেন বলে জানা যায়। অনেকে মনে করেন, নিপুণের পরাজয়ের বড় একটি কারণ হলো তার কমিটির সকলকে ধরে রাখতে না পারাও।

কমিটির শেষ পর্যায়ে এসে সাইমনের পদত্যাগ তাকে বড় একটি ধাক্কা দেয়। এরপর তার সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সরে যাওয়ায় বলা যায় আরও বেশি ভেঙ্গে পড়ে তার কমিটি। গুঞ্জন আছে নির্বাচনে তার প্যানেলে সভাপতি খুঁজে বের করতেও তাকে বেশ কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। শাকিব খান ও অনন্ত জলিলকে সভাপতির জন্য তিনি প্রস্তাব দেন। তারা দুজনেই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেও অনেকে জানান।

অন্যদিকে তার কমিটির যারা ডিপজল-মিশা প্যানেলে গিয়ে নির্বাচন করেছেন, তারা নিপুণের দুর্নামই করেছেন। কেউ বলেছেন, নিপুণ তাদের কাজ করতে দেননি। কেউ বলেছেন, নিপুণ তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন ইত্যাদি। এছাড়া গেল নির্বাচনের সময় পীরজাদা হারুণকে নিয়ে চুমুকা-ে তিনি নানা রকম সমালোচনা করেন। এবার সেই হারুণকে তার প্যানেলে নিয়েও বিতর্কের মুখে পড়েন। অভিনেত্রী হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আগে কখনো শোনা যায়নি।

তাকে প্যানেলে নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। একইসঙ্গে অভিনেত্রী জেসমিন আক্তারও ছিল নিপুণের জন্য ভোটারদের কাছে একটি নেতিবাচক ইস্যু। সব মিলিয়ে নিপুণ শিবিরে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে নিপুণ নতুন একটি মাইলফলক তৈরি করেছেন। নির্বাচনের ফলাফল শেষ হলেই তিনি ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। সে সময় সভাপতি মিশাও জানান, নিপুণকে নিয়েই তাদের কমিটি আগামীতে কাজ করবে।

×