ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কার নাট্যদলের দুই নাটকের মঞ্চায়ন আজ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

সংস্কার নাট্যদলের দুই নাটকের  মঞ্চায়ন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় সংস্কার নাট্যদলের চতুর্থ প্রযোজনা ‘ভুলস্বর্গ’ এবং পঞ্চম প্রযোজনা ‘মহাপতঙ্গ’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে। এর মধ্যে ‘ভুলস্বর্গ’ নাটকটি রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নবনাট ও নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক। অন্যদিকে ‘মহাপতঙ্গ’ নাটকের মূল গল্প আবু ইসহাক। নাট্যরূপ দিয়েছেন ড. রুবাইয়াৎ আহম্মেদ। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন হাবিব মাসুদ। নাটকের সঙ্গীত মনামী ইসলাম কনক। ‘ভুলস্বর্গ’ ও ‘মহাপতঙ্গ’ নাটক দুটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন ফাতেমা তুজ জোহরা (ইভা), পৃথা দে, সুজন কির্ত্তনিয়া, জুলি ইসলাম, মোস্তফা জালাল সৌরভ, মাসুদ কবির, রতœা ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, নদী বাপ্পী, বাপ্পী সাইফ, আশিকুর রহমান, শিহাবুল ইসলাম, সাজ্জাদ হাওলাদার এবং টুটন চাকলাদার। ‘ভুলস্বর্গ’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে নেহাত বেকার এক লোকের নানা রকমের শখ। বিশেষ করে পটে চিত্র আঁকা, মাটির ঢেলা দিয়ে নানা বস্তু তৈরি করা তার ভাল লাগার বিষয়। তবে এজন্য বাড়ির লোকের কাছে তার লাঞ্ছনার সীমা নেইা। বাড়ির লোকদের মতে, সে এক প্রকার পাগল। তাই লোকটি মাঝে-মধ্যে সিদ্ধান্ত নিত আর পাগলামি করবে না। কিন্তু স্বভাবগত পাগলামি তাকে ছাড়ত না। সারাজীবন অকাজে পার করলেও মৃত্যুর পর জানতে পারে তার স্বর্গে যাওয়া মঞ্জুর। কিন্তু নিয়তি তার পিছু ছাড়ে না। স্বর্গের দূত তাকে ভুল করে অকেজো লোকের স্বর্গে না পাঠিয়ে কেজো লোকের স্বর্গে দিয়ে আসে। ভুল স্বর্গে গিয়ে তৈরি হয় নানা বিপত্তি। যেখানে সকলেই নানা কাজে ব্যস্ত। তাদের কোন অবসর নেই। আর বেকার লোকটিই কোন কাজ পায় না। স্বর্গের ব্যস্ত মেয়ের ঘটে চিত্রপট একে দিয়ে তাকে মুগ্ধ ও চিন্তিত করে ফেলে। তৈরি হয় কেজো লোকের স্বর্গবিরোধী আচরণ। সভা বসে। স্বর্গের প্রধান জ্ঞানী গুণীজন তার এই কর্মে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারপর ডাক পড়ে দূতের। জানা যায়, তাকে ভুল করে ভুল স্বর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয় আবার বেকার লোকটিকে পৃথিবীতে পাঠানো হবে। এমনিভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। অন্যদিকে ‘মহাপতঙ্গ’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে ছোট একটি শহরের ছোট একটি বাড়ির দেয়ালের ফোকড়ে বাস করে দুটি চড়ুই দম্পতি। বাসায় তাদের দুটি ছোট ছানা রয়েছে। তারা বহু আদরে বেঁচে থাকার কায়দা সেখায় বাচ্চাদের। একবার গল্প বলতে বলছে এক মহাপতঙ্গের কথা বলে। দেখতে ফড়িংয়ের মতো মহা সেই প্রাণী বোঁ বোঁ শব্দ করে এসেছিল। সেইবার বন্যায় দুর্গত দো-পেয়ে দৈত্য অর্থাৎ মানুষকে তারা বস্তা করে শস্য দিয়ে গিয়েছিল। উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল নিরাপদ স্থানে। খরা বন্যায় দো-পেয়ে দৈত্য, পশু পাখি অনাবৃষ্টির দেশে যায়। আবার ফিরেও আসে। কিন্তু চড়ুই দম্পতি কোথাও যায় না। এমন সময় আবার আকাশে দেখা যায় মহাপতঙ্গের। পুরুষ চড়ুই ঘরে ছোট ছোট বাচ্চা আর স্ত্রীকে রেখে বের হয় খাদ্যের খোঁজে। এই বারে দেখে মহাপতঙ্গের ভিন্নরূপ। দো-পেয়ে দৈত্য দ্বারা চালিত মহাপতঙ্গ বড় বড় ডিমের মতো কি যেন ফেলে। এ (বোম) বড় বড় ডিম ফেটে চৌচির হয়ে যায় (দো-পেয়ে দৈত্য) এর ঘরবাড়ি, গাছ-পালা প্রান্তর। হারিয়ে যায় চড়ুইয়ের সুখের সংসার। পুরুষ চড়ুই মানুষের জয়গান করেছিল এক সময়। আর সেই মানুষের কারণেই তৈরি হয়েছে হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞের। আর্তচিৎকারে ফেটে পড়ে চড়ুই পাখিটি। ছিঃ ছিঃ শব্দ তোলে গণহত্যাকারী দো-পেয়ে দৈত্যদের বিরুদ্ধে।
×